সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের বাগানবাড়িতে বিক্ষুব্ধদের নিয়ে যে বনভোজন বা চড়ুইভাতি হল তাতে একটা ইঙ্গিত স্পষ্ট, নয়া মঞ্চের পথে বিক্ষুব্ধরা। এমনকী দলের অন্দরে বাড়ছে ‘বিদ্রোহের’ সুর। এই নিয়ে পর পর দু’বার বৈঠক করেছেন স্বয়ং শান্তনু ঠাকুর। এই পর পর বৈঠকে বঙ্গ–বিজেপির নেতাদের অস্বস্তিও চরমে উঠেছে। এবার এই চড়ুইভাতি নিয়ে মুখ খুললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
ঠিক কী বলেছেন দিলীপ? আজ, মঙ্গলবার ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণ করার পর সাংবাদিকদের দিলীপ বলেন, ‘বিজেপিতে কেবল নিরামিষ হয় না। আমিষও হয়। মাছ–মাংস খাওয়া হয়। পাত পেড়ে বিরিয়ানিও খাওয়া হয়। দলের নেতারা একসঙ্গে পিকনিক করছেন, খাওয়া দাওয়া করছেন, তাতে তো অসুবিধা নেই। হতেই পারে। আমি জানি নতুন কমিটি নিয়ে কিছু ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। সময় দিলেই কেটে যাবে।’
সময়ের উপর ছেড়ে দিলেও আসলে ড্যামেজ কন্ট্রোলের পথ খুঁজে পাচ্ছে না বিজেপি বলেই মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় নামাঙ্কিত পৃথক একটি মঞ্চ গড়ে নিজেদের লড়াই চালিয়ে যাওয়ার পথে হাঁটছেন এই বিক্ষুব্ধরা। এই ভাঙন নিয়ে তিতিবিরক্ত কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও। তাই গোটা বিষয়টি সময়ের উপর ছেড়ে দিতে চাইছেন বঙ্গ–বিজেপির নেতারা বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও সুর চড়িয়ে শান্তনু ঠাকুরের মন্তব্য, ‘বেসুরোর সংখ্যা বেশি হলে সেটাই সুর।’
ইতিমধ্যেই মতুয়াদের পাঁচ বিধায়ক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে লেফট হয়ে গিয়েছেন। তারপর দলের অন্দরে পৃথক গোষ্ঠী তৈরি আগামী পুরসভা নির্বাচনগুলিতে প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। যেখানে মতুয়া সম্প্রদায়ের ভোটের উপর নির্ভর করে লোকসভা নির্বাচনে সাফল্য পেয়েছিল পদ্ম শিবির। কিন্তু নতুন রাজ্য ও জেলা কমিটিতে মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের জায়গা না হওয়ায় প্রচণ্ড বিরক্ত শান্তনু ঠাকুর।