বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > ‘‌আমাদের দুর্ভাগ্য এই রাজ্যে আগে রাজনীতি’‌, রাজ্যকে খোঁচা দিলেন সুকান্ত

‘‌আমাদের দুর্ভাগ্য এই রাজ্যে আগে রাজনীতি’‌, রাজ্যকে খোঁচা দিলেন সুকান্ত

রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

প্রত্যাখ্যান তাঁরাই করছেন যাঁরা রাজনীতি করছেন। এটা অনভিপ্রেত। এটা নিয়ে খামখা রাজনীতির কোনও দরকার নেই।

আজ, সাধারণতন্ত্র দিবসে বিজেপি রাজ্য দফতরে পতাকা উত্তোলন করলেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তারপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বুদ্ধবাবুর পদ্মভূষণ প্রত্যাখ্যান থেকে শুরু করে নানা বিষয়ে মন্তব্য করেন। তাঁর মতে, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সামাজিক ও প্রশাসনিক অবদানকে মাথায় রেখে কেন্দ্রীয় সরকার মনে করেছে এই পুরষ্কার দেওয়া উচিত। তাই দিয়েছে৷ প্রত্যাখ্যান তাঁরাই করছেন যাঁরা রাজনীতি করছেন। এটা অনভিপ্রেত। এটা নিয়ে খামখা রাজনীতির কোনও দরকার নেই।

কেন্দ্রীয় সরকার সাম্প্রদায়িক বিভাজনের লাইন থেকে না সরায় কী প্রত্যাখ্যান?‌ উত্তরে সুকান্ত বলেন, ‘‌এতে আমরা রাজনীতি করিনি। কিন্তু আমরাও বলতে পারি, পাকিস্তান আগে ভাগ হবে, তারপর দেশ স্বাধীন হবে বলেছিলেন কমিউনিস্টরা। তাদের দেশ বিরোধী নানা মন্তব্য আছে। আমরা ওটা এখানে আনতে চাইছি না। কেন্দ্রীয় সরকারের কর্তব্য দেশের গুণীদের স্বীকৃতি দেওয়া।’‌

বুদ্ধদেবের বিতর্কিত কাজকে সমর্থন করে বিজেপি? এই বিষয়ে সুকান্ত বলেন, ‘‌প্রশাসনিক ও সামাজিক কাজের জন্য তাঁকে পদ্মভূষণ দেওয়া হচ্ছে। তাহলে মুখ্যমন্ত্রী যখন ছাদ দিয়ে জল পড়ার খোঁজ নেন, সেটাও কী সমর্থন! এটা সৌজন্য। সংবিধান মেনে বুদ্ধবাবু, সুজনবাবু কাজ করছেন তাঁদের মতাদর্শে। আমরা আমাদের মতাদর্শে করছি। তার উর্ধ্বে সরকার ও সৌজন্য।’‌

বিক্ষুব্ধদের কী বার্তা দিলেন জেলা কমিটিতে? এই প্রশ্নের উত্তরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘‌জেলা কমিটির ডেটলাইন নেই। কিন্তু আমাদের একটা লক্ষ্য ছিল, আমি করোনাভাইরাসে ১০ দিন পিছিয়ে গিয়েছি। আমাদের একে একে হচ্ছে। তার মধ্যে কাউকে কোনও বার্তা নেই। যা হওয়ার তাই হচ্ছে। অনুগামী বলে কিছু হয় না। সবাই বিজেপির অনুগামী। পতাকার অনুগামী। মেনে নিতে হবে এটা৷’‌

এবার বিরোধী দলনেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে। কী বলবেন?‌ এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘এটা দুর্ভাগ্যজনক। আমাদের সংবিধান মেনে বিরোধী অধিকার আছে। এই রাজ্যে সেটা মানা হয় না। কিন্তু গুজরাতে কংগ্রেস–বিজেপি উন্নয়নে রাজনীতি করে না। তাদের অগ্রগতি হয়। আমাদের দুর্ভাগ্য এই রাজ্যে আগে রাজনীতি। শুভেন্দুবাবু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়েছেন। যে আমাকে হারিয়েছেন, তাঁকে তো সন্মান করতে হবে। এরা শেখেনি।’‌

বন্ধ করুন