পাঁচবছর আগে সংখ্যাটা ছিল ৩, এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭০-এরও বেশি। বিধানসভায় বিজেপির এই উপস্থিতি যে ২১০-এর অধিক আসন পাওয়া তৃণমূলকে অস্বস্তিতে ফেলবে তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে অধিবেশনের প্রথম দিনেই যখন নজিরবিহীন ভাবে রাজ্যপালকে ভাষণ পড়ার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ায় বিজেপি বিধায়কদের বিক্ষোভ। এই আবহে হেস্টিংসে বিধায়কদের জন্যে বিশেষ কর্মশালার আয়োজন করা হয় বিজেপির তরফে। আর সেই কর্মশালাতেই বিধায়কদের বিভিন্ন পরামর্শ দিলেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
প্রশিক্ষণ শিবিরে প্রথমে বিধায়কদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন দিলীপ ঘোষ। দিলীপ ঘোষ বলেন, 'জরুরি অবস্থার সময়ে আমাদের শেষ করা যায়নি। যখন সংসদে আমাদের দুই জন সাংসদ ছিলেন, তখনও আমাদের শেষ করা যায়নি। এরাজ্যে আজ আমরা ৩ থেকে ৭৭। ক্ষমতায় আমরা আসবই।'
উল্লেখ্য, শুভেন্দু অধিকারী, মনোজ টিগ্গা, মিহির গোস্বামীদের মতো হাতেগোনা কয়েকজন ছাড়া বাকিরা সবাই নতুন। তাই তাঁদের ঠিকমতো শিখিয়ে-পড়িয়ে নেওয়া জরুরি। এই আবহে বিধায়কদের দিলীপবাবু বলেন, 'বিধায়ক হয়েছেন বলে ভাববেন না যে অনেক কিছু হয়ে গিয়েছেন। দলই আপনাকে বিধায়ক করেছে। তাই যেখানে যাবেন, দলকে জানিয়ে যাবেন। আপনাদেরকেই ঠিক করতে হবে যে আপনারাই ঠিক করুন বাঁদরের বাচ্চা হবেন, নাকি বিড়ালের বাচ্চা হবেন।' আদতে দিলীপবাবুর এই উপমার নেপথ্যে রয়েছে বাঁদর এবং বিড়ালের বাচ্চাদের আতরণ। বাঁদরের বাচ্চারা সাধারণত মায়ের বুকে থাকে। তবে বিড়ালের বাচ্চা একা একাই এদিক-ওদিক ঘুরে বেড়ায়। দলত্যাগের কথা বোঝাতে তাই এহেন উপমা দিলীপবাবুর।
এদিকে প্রশিক্ষণ শিবিরের ছবি দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, ট্রেজারি বেঞ্চের মোকাবিলা করার জন্য বিজেপি বিধায়কদের আরও উন্নত করার লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ শিবির। এদিকে বিজেপির এই প্রশিক্ষণ শিবির নিয়ে কটাক্ষ করেছেন রাজ্যসভায় তৃণমূলের সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। তাঁর প্রশ্ন, বিজেপির আবার প্রশিক্ষণ শিবির? প্রশিক্ষণ দিচ্ছে কে? তাঁর আরও প্রশ্ন, উত্তরবঙ্গ ভাঙতেই কি প্রশিক্ষণ শিবির?