মঙ্গলবার থেকেই নিখোঁজ ছিলেন মোমিনপুরের বাসিন্দা এক যুবক। পরিবারের লোকজন চারদিকে খোঁজাখুঁজি করেও যুবকের খোঁজ পাননি। শেষ পর্যন্ত বুধবার মোমিনপুরের ময়ুরভঞ্জ রোডের একটি আবাসনের ছাদ থেকে উদ্ধার করা হল যুবকের দেহ। মৃতের নাম মহম্মদ সাজ্জাদ হোসেন। বয়স মাত্র ২২ বছর। ওই যুবকের মৃত্যুকে ঘিরে পরতে পরতে রহস্য দানা বেঁধেছে। কীভাবে ওই যুবকের মৃত্যু হল তা কিছুতেই বুঝতে পারছেন না স্থানীয় বাসিন্দারা।
এদিকে আবাসনের প্রেসিডেন্টের দাবি ছাদের দরজায় তালাচাবি দেওয়া ছিল। কেউ চাবি খোলেনি। তাহলে কীভাবে সাজ্জাদের দেহ ছাদের উপরে গেল? তবে সাজ্জাদের পরিবারের দাবি, তাকে খুন করে ওখানে ফেলে রাখা হয়েছে। কিন্তু তালাবন্ধ ছাদে কীভাবে যাবে আততায়ীরা। গোটা বিষয়টিকে ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
তবে স্থানীয়দের একাংশের দাবি, সাজ্জাদ ঘুড়ি ওড়াতে ভালোবাসতেন। যেখানে সাজ্জাদের দেহ পাওয়া গিয়েছে তার পাশেই ৬ তলা একটি আবাসন রয়েছে। সম্ভবত সেই আবাসনের ছাদে কোনওভাবে ঘুড়ি ওড়াতে গিয়েছিলেন সাজ্জাদ। তারপর পা পিছলে পড়ে যান পাশের চারতলা আবাসনের ছাদে। এদিকে ছাদ বন্ধ থাকায় কেউ টের পাননি যে তিনি ওখানে পড়ে গিয়েছেন। এরপর সেখানেই মৃত্যু হয়েছে তার। এমনটাই অনুমান করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
তবে পরিবারের দাবি,সাজ্জাদের খুন করা হয়েছে। এর পেছনে কে বা কারা জড়িত রয়েছে তাকে গ্রেফতার করতে হবে। এদিকে এভাবে ছাদ থেকে তরতাজা যুবকের দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবেই শোরগোল পড়েছে।
স্থানীয়দের দাবি, মাঝেমধ্যেই তাকে ঘুড়ি ওড়াতে দেখা যেত। কোথাও ঘুড়ি ওড়াচ্ছে দেখলেই তিনি ছুটে যেতেন। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে ৬তলার ছাদে কি তিনি একাই ঘুড়ি ওড়াচ্ছিলেন? নাকি সঙ্গে কেউ ছিল? সাজ্জাদ পড়ে গিয়েছে একথা কেন তিনি জানাননি। এই অস্বাভাবিক মৃত্যুকে ঘিরে পরতে পরতে রহস্য় দানা বেঁধেছে।