সাধারণ মানুষকে চিকিৎসা পরিষেবায় সাহায্য করতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এবার বিনা খরচে ক্যানসারের মতো দুরারোগ্য রোগের চিকিৎসায় সাহায্য করতে এগিয়ে এল রাজ্য সরকার। সরকারের তরফে এই উদ্যোগ এই প্রথম। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের তরফে এই কথা জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর পাওয়া যায়, উত্তরপাড়ার এক বাসিন্দা ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন। চিকিৎসার স্বার্থে তাঁর বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টের প্রয়োজন। এর জন্য তাঁর খরচ হবে ১০ লাখ টাকা। কিন্তু এতগুলি টাকা খরচ করার মতো সামর্থ্য ওই পরিবারের নেই। তাই এবার ওই বাসিন্দার চিকিৎসায় সাহায্য করতে এগিয়ে এল রাজ্য সরকার। চিকিৎসার খরচের ৫০ শতাংশ খরচ বহন করবে রাজ্য সরকার। রাজ্যে এই প্রথমবার বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টের মতো খরচ বহন করবে রাজ্য সরকার। যেভাবে ক্যানসার আক্রান্ত কোনও রোগীর চিকিৎসায় পাশে এসে দাঁড়াল রাজ্য সরকার, তা এক কথায় দারুণ উদ্যোগ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।এদিন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের তরফে টুইট করে এই কথা জানানো হয়েছে।
উল্লেথ্য, নির্বাচনের আগেই রাজ্যের মানুষের কাছে ঠিকমতো স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দিতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। জানিয়েছিলেন, এই রাজ্যের আওতাধীন রাজ্যের ১০ কোটি মানুষ ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসার সুবিধা পাবেন। সেই মতো নির্বাচনের আগেই রাজ্যের মানুষের কাছে এই কার্ড পৌঁছে দেওয়ার ব্যাপারে চরম তৎপরতা শুরু হয়ে যায়। অনেকেই ভোটের আগেই কার্ড পেয়ে যান। দুয়ারে সরকার প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের কাছে এই কার্ড পৌঁছে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায়। তবে এই স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের মাধ্যমে দুরারোগ্য রোগ চিকিৎসা করার দরজাও খুলে দিল রাজ্য সরকার।