বটানিক্যাল গার্ডেনের উত্তর প্রান্তের গঙ্গা থেকে পদ্মপুকুর প্রকল্পের জল তোলার জন্য একটি জেটি রয়েছে। তার নাম হল ইনটেক জেটি। সেই জেটি সংস্কারে জট কাটল। এতদিন বটানিক্যাল গার্ডেনের কাছে অনুমতি না মেলায় এই সংস্কার আটকে ছিল। তবে সম্প্রতি বটানিক্যাল গার্ডেন জেটি সংস্কারে সবুজ সংকেত দিয়েছে। এরপরে কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (কেএমডিএ) শীঘ্রই জেটি সংস্কারের কাজ শুরু করে দেবে।
আরও পড়ুন: রাজ্যে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে গঙ্গা ভাঙন, মামলা জাতীয় পরিবেশ আদালতে
মূলত এই জেটি সংস্কারে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল শিবপুর বটানিক্যাল গার্ডেন। পরিবেশ দূষণ সহ একাধিক সমস্যার কথা জানিয়েছিল বটানিক্যাল গার্ডেন। যার ফলে গত ৬ মাস ধরে এই জেটি সংস্কারে অনুমতি মেলেনি। এ নিয়ে দফায় দফায় বটানিক্যাল গার্ডেনের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসে কেএমডিএ এবং অন্যান্য বিভাগ। পদ্মপুকুর জলপ্রকল্পের জন্য গঙ্গা থেকে জল তোলার মূল জেটি সংস্কার করে পাম্প হাউস তৈরি করার হবে। প্রায় ৩০ কোটি টাকা খরচে কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি এই কাজ করবে। হাওড়া পুরসভা ও কেএমডিএ জানিয়েছে, এই কাজে বটানিক্যাল উদ্যানের কোনও ক্ষতি হবে না।শুধুমাত্র জেটি সংস্কার করে তা আধুনিক মানের করা হবে।
গত মাসে জয়েন্ট ম্যানেজমেন্ট কমিটি অব বটানিক্যাল গার্ডেনের চেয়ারম্যান রাজ্যের মুখ্য সচিবের সঙ্গে এ বিষয়ে একটি জরুরি বৈঠক করেন। সেই বৈঠকের পরেই মঙ্গলবার বটানিক্যাল গার্ডেন এই অনুমতি দিয়েছে। গার্ডেনের জয়েন্ট ডিরেক্টর দেবেন্দ্র সিংহ জানান, এই কাজে দূষণ হবে এবং গার্ডেনের ক্ষতি হলে তা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। কেএমডিএ-কে এই শর্ত মেনে নিয়েছে বলে জানিয়েছে হাওড়া পুরসভা।
আধিকারিকরা জানিয়েছেন, গঙ্গার জলস্তর কমে যাচ্ছে। ফলে আগামী দিনে পাম্পের সাহায্যে গঙ্গার জল তোলার ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হতে পারে। তা হলে হাওড়ায় তীব্র জল সঙ্কট দেখা দিতে পারে। তাই পুরনো জেটি সংস্কার করে তাকে আধুনিক করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর খানেক আগে ইনটেক জেটি একটি জাহাজের ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তারপরের সমস্যা হচ্ছিল। হাওড়া পুরসভার চেয়ারপার্সন সুজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, কেএমডিএ পুরসভার তত্ত্বাধানে এই কাজ করবে। পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে এরজন্য গার্ডেনে জমি বা কোনও গাছপালার ক্ষতি হবে না। হাওড়া পুরসভা কর্তৃপক্ষের অনুমান, এই কাজ সম্পন্ন করতে এক বছরের বেশি সময় লাগবে। যদিও কেএমডিএ–কে বেশি সময় দিতে রাজি হয়নি গার্ডেন কর্তৃপক্ষ। তবে শেষমেষ অনুমতি মেলায় তাতে রাজি হয়েছে কেএমডিএ। কেএমডিএ-র তরফে জানানো হয়েছে। এই কাজ সম্পন্ন হলে জল তুলতে কোনও সমস্যা হবে না।