খাস কলকাতা শহরে নেতাজির মুর্তি ভেঙে শৌচালয় তৈরির অভিযোগ উঠেছিল। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। এমন ঘটনার কথা শুনে অবিলম্বে কলকাতা পুরসভার এক অফিসার নিয়োগ করে ওই এলাকা পরিদর্শনের পর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চ। এই ঘটনা নিয়ে রাজ্যের মধ্যেও জোর চর্চা হয়েছে। কারণ নেতাজিকে দেশনায়ক বলা হয়। সেখানে নেতাজির মূর্তি ভেঙে শৌচালয় এটা মেনে নেওয়াই যায় না।
এদিকে বাঙালি এবং গোটা দেশের ‘বীর সন্তান’ হিসাবে আজও রযে গিয়েছে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। একসময় কলকাতা পুরসভার মেয়র ছিলেন। অথচ সেই কলকাতাতেই তাঁর মূর্তি ভেঙে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এমনকী সেখানে তৈরি করা হচ্ছে শৌচাগার। যা মেনে নেওয়া কঠিন। সেখানে এই অভিযোগ নিয়ে মামলাও হয়েছে। সেই মামলায় ওই এলাকা পরিদর্শন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কলকাতা পুরসভাকে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ।
অন্যদিকে আদালত সূত্রে খবর, শ্রদ্ধানন্দ পার্কের কাছেই একটি গলিতে নেতাজির মূর্তি ছিল। হঠাৎই সেই মূর্তি ভেঙে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ। আর মূর্তির জায়গায় শৌচাগার তৈরি হচ্ছে। এই মামলার আবেদনকারী সুশীলকুমার সিংয়ের আইনজীবী মনোজিৎ ভট্টাচার্য এবং সুমিত্রা ভট্টাচার্য নিয়োগী দাবি করেন, বিষয়টি নিয়ে মেয়রকে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। কিন্তু লাভ হয়নি। এই কথা শুনে ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, ওই এলাকা পরিদর্শনের জন্য কলকাতা পুরসভাকে অবিলম্বে এক অফিসারকে নিয়োগ করতে হবে। তারপর অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে দু’সপ্তাহের মধ্যে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।
আরও পড়ুন: সাসপেন্ড করা হয়েছে দুই মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রকে, র্যাগিংয়ের অভিযোগে হবে কাউন্সেলিং
এছাড়া আরও জানা গিয়েছে, শ্রদ্ধানন্দ পার্কের কাছে ১৪১/১ কটন স্ট্রিট এলাকায় একটি নেতাজি মুর্তি ছিল। এমনকী সেখানে ছিল একটি লক্ষ্মী নারায়ণ মুর্তি এবং জলের ট্যাঙ্ক। অভিযোগ উঠেছে, ওই মুর্তিগুলি ভেঙে ফেলা হয়েছে এবং সেখানে একটি শৌচালয় তৈরি করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। নেতাজির মূর্তি ভেঙে শৌচালয় নির্মাণ শুনে চমকে ওঠেন বিচারপতিরা। এমনটাও কি সম্ভব! বিস্ময় প্রকাশ করেন তাঁরা। তারপরই কড়া নির্দেশ দেন।