ধর্ষণের জেরে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছিলেন যুবতী। তবে বিষয়টি জানাজানি হতে অনেক দেরি হয়ে হয়ে। তাই গর্ভপাতের অনুমতি চেয়ে আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন যুবতী। শেষ পর্যন্ত ২৩ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা যুবতীর গর্ভপাত করানোর অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নির্যাতিতার গর্ভপাত করানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ধর্ষিতা অন্তঃসত্ত্বা নাবালিকার বাবা-মা ফেলে চলে গিয়েছে, অবাক হাইকোর্ট
মামলার বয়ান অনুযায়ী, ২০১৮ সালে ওই যুবতীর সঙ্গে এক যুবকের পরিচয় হয়েছিল। ক্রমেই তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর ২০২৩ সালের জুলাই মাসে ওই যুবক নির্যাতিতাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিলে তাতে তিনি রাজি হয়ে যান। অভিযোগ, এরপরে তার সঙ্গে বেশ কয়েকবার সহবাস করে যুবক। যার ফলে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন যুবতী। এদিকে, নির্যাতিতার বাবা একজন কৃষক। রোজগার না থাকায় গর্ভপাতের সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু, বিষয়টি জানাজানি হয় ২১ সপ্তাহ পর। নিয়ম অনুযায়ী, ২০ সপ্তাহের পর গর্ভপাত করতে গেলে সে ক্ষেত্রে আদালতের অনুমতি নিতে হবে। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মহিলার বাবা। তার ভিত্তিতে আদালত গর্ভপাতের অনুমতি দিয়েছে।
বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য বাঙুর হাসপাতালে এর জন্য একটি চিকিৎসকদের একটি টিম তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছেন। এই দলে থাকবেন দুজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং একজন শিশু বিশেষজ্ঞ। একইসঙ্গে গর্ভপাত করার আগে যুবতীর যাতে কোনও শারীরিক সমস্যা তৈরি না হয় সে বিষয়টিও চিকিৎসকদের খতিয়ে দেখতে হবে। তাছাড়া, গর্ভপাতের পর যুবতীর শারীরিক অবস্থা কেমন রয়েছে তা আদালতকে জানাতে হবে। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে এ বিষয়টি আদালতকে জানাতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। অন্যদিকে, ওই যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন যুবতী। তার ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তবে নিম্ন আদালত ওই যুবককে জামিন দিয়ে দেয়। এছাড়া যুবতী জেলা মুখ্য বিচারকের কাছে গর্ভপাতের জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন। তবে এক্তিয়ার না থাকায় তিনি অনুমতি দেননি।