গণধর্ষণের শিকার এক নাবালিকার গর্ভপাত করানোর নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ওই নাবালিকা ২৬ সপ্তাহের অন্তঃসত্তা। তবে পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি জানতে পারেন ২৪ সপ্তাহ পরে। এরপর তারা গর্ভপাত করাতে চেয়ে কলকাতায় কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সেই সংক্রান্ত মামলায় এই নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে নাবালিকার গর্ভপাত করানোর নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত । উল্লেখ্য, ওই নাবালিকা ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এই নির্দেশে খুশি নাবালিকার পরিবার।
আরও পড়ুন: অবৈধভাবে সীমান্ত পার করে গণধর্ষণের শিকার বাংলাদেশি নাবালিকা, গ্রেফতার ৪
পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, নাবালিকা পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়া। গত কয়েক মাস ধরে প্রতিবেশী তিন নাবালক তাকে লাগাতার গণ ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। এর ফলে ছাত্রীটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। কিন্তু প্রথমে পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি জানতে পারেননি। নাবালিকা বয়স ২৪ সপ্তাহ অন্তঃসত্ত্বা।হলে পরিবার সদস্য বলতে জানতে পারেন। এরপরে নাবালিকা সমস্ত বিষয় খুলে বলে। ঘটনায় থানায় অভিযোগ জানান পরিবারের সদস্যরা। তার ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে। বর্তমানে তারা হোমে রয়েছে। এদিকে নাবালিকা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন পরিবার সদস্যরা। তারা মেয়ের গর্ভপাত করানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেন। কিন্তু হাসপাতালে গিয়ে গেলে তারা জানতে পারেন ২৪ সপ্তাহ পরে গর্ভপাত করতে গেলে সে ক্ষেত্রে আদালতের নির্দেশ প্রয়োজন। সেইমতো আদালতের দ্বারস্থ হয় ওই পরিবার। মামলাটি ওঠে বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের এজলাসে। সেই মামলায় একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠনের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা স্বাস্থ্য দফতর সেই নির্দেশ মেনে বোর্ড গঠন করে। ছাত্রীটির শারীরিক অবস্থা ঘটিয়ে দেখে রিপোর্ট জমা দেয় মেডিক্যাল বোর্ড। তার ভিত্তিতে নাবালিকার গর্ভপাতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
প্রসঙ্গত, জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তরফে রিপোর্ট দিয়ে আদালতে জানানো হয়, ওই ছাত্রীর শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। শিশুর জন্ম দেওয়ার মতো অবস্থায় নেই। এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে নির্যাতিতা শিশুর বাবা। তিনি চাইছেন তার মেয়ে সুস্থ স্বাভাবিক জীবন করুক। অন্য দিকে, গত মাসে নির্যাতিতার পরিবার অভিযোগ জানালেও এখনও পর্যন্ত সেই মামলা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়নি পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলার রুজু হয়েছে।