প্রাথমিকের একটি মামলা নিজের এজলাস থেকে ছেড়ে দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এই মামলাটির সঙ্গে বৃহত্তর স্বার্থ জড়িয়ে আছে বলে মনে করছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ। তাই মামলাটি আজ, সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের কাছে পাঠালেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ, প্রাথমিকের ওই মামলার সঙ্গে বৃহত্তর স্বার্থ জড়িয়ে আছে। তাই মামলাটি জনস্বার্থ মামলা হিসাবে শুনানি করা উচিত।
এদিকে রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বেশ কিছু মামলা বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে বিচারাধীন আছে। সেগুলির মধ্যে অনেক মামলায় গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ এবং গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশও এসেছে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ থেকে। তবে প্রাথমিকের এই মামলার সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত কোনও বিষয়ের যোগ নেই বলে জানা যাচ্ছে। মামলাকারী বিদেশ গাজির বক্তব্য, পঞ্চম শ্রেণিকে সম্পূর্ণ প্রাথমিকে অন্তর্ভুক্ত করা হোক। রাজ্যের একাধিক হাইস্কুলে পঞ্চম শ্রেণির পঠনপাঠন চলে। যদিও প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়া হিসাবে গণ্য করা হয়।
অন্যদিকে বিদেশ গাজি নামে ওই মামলাকারীর আর্জি আজ ওঠে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চে। মামলকারীর আইনজীবী ওমর ফারুক গাজি জানান, ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন ২০০৯ সালে একটি নির্দেশিকা দিয়েছিল। সেখানে উল্লেখ ছিল, প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের জন্য একটিই পরীক্ষা হবে এবং পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক হিসাবেই ধরা হবে। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে অন্য একটি পরীক্ষা হবে। সেটাই অন্যান্য রাজ্য মেনে চলে। পশ্চিমবঙ্গে বেশিরভাগ স্কুলে পঞ্চম শ্রেণি উচ্চ প্রাথমিকের মধ্যে পড়ে। যদিও রাজ্য সরকার প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির নিয়োগের জন্য একটিই টেট নেয়। সেক্ষেত্রে কেন পঞ্চম শ্রেণিকে প্রাথমিকের অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে না?
আরও পড়ুন: ‘বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যই যেন দেশের একমাত্র সৎ ব্যক্তি’, কলকাতা হাইকোর্টে কল্যাণের আক্রমণ
এছাড়া বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ, এই মামলাটির সঙ্গে রাজ্য সরকারের নীতি জড়িয়ে আছে। তাই এই মামলাটি জনস্বার্থ মামলা হিসেবে বিবেচনা হওয়া উচিত। এই মামলাটি প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে শুনানির জন্যই উপযুক্ত। প্রাথমিকের এই মামলার সঙ্গে বৃহত্তর স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে। তাই এই মামলা জনস্বার্থ মামলা হিসাবে শুনানি করা উচিত। এই পর্যবেক্ষণের উপর ভিত্তি করেই মামলা ছেড়ে দেন বিচারপতি।