এবার বাংলাদেশি নাগরিককে বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থীপদ দেওয়ায় আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়ল তৃণমূল। গত বিধানসভা নির্বাচনে বনগাঁ দক্ষিণ কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী আলোরানি সরকারের বাংলাদেশি নাগরিকত্ব রয়েছে বলে জানিয়েছে আদালত।
গত বিধানসভা নির্বাচনে বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদারের জয়কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে নির্বাচনী পিটিশন দায়ের করেছিলেন আলোরানি দেবী। সেই মামলার শুনানি চলছিল বিচারপতি বিবেক চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চে।
আদালতে স্বপনবাবুর আইনজীবী জানান, আলোরানি সরকার আসলে বাংলাদেশি নাগরিক। তাঁর ভারতীয় নথিও রয়েছে। তাঁর বিয়ে হয়েছে বাংলাদেশে। তাঁর স্বামী বাংলাদেশের নাগরিক ও বাসিন্দা। কী ভাবে দ্বৈত নাগরিকত্ব রাখা এক ব্যক্তিকে তৃণমূল প্রার্থী করল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আদালত।
ভারতীয় নাগরিকত্ব আইন অনুসারে এই দেশের নাগরিকত্ব রাখতে গেলে অন্য সমস্ত নাগরিকত্ব ত্যাগ করতে হয়। ফলে ভারতীয় হিসাবে দ্বৈত নাগরিকত্ব রাখা অসম্ভব। সেই কাজই আলোরানি করেছেন বলে জানিয়েছে আদালত।
শুধু প্রার্থী করাই নয়, বিধানসভা নির্বাচনের আগে আলোরানিকে বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভানেত্রীও করেছিল তৃণমূল। সম্প্রতি দলের সাংগঠনিক রদবদলে তাঁকে সরিয়ে গোপাল শেঠকে সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়। এব্যাপারে কোনও মন্তব্য করেনি তৃণমূল নেতৃত্ব। দ্বৈত নাগরিকত্ব রাখা আলোরানির বিরুদ্ধে আদালত এবার কী পদক্ষেপ করে সেদিকে নজর সবার।