ভরা এজলাসে মুখ পুড়ল সিবিআইয়ের। কারণ রাজ্যের দুই মন্ত্রী, এক বিধায়ক এবং প্রাক্তন মেয়রকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই আধিকারিকরা। কিন্তু আদালতে যে নথি পেশ করেছিল তাঁরা, সেখানে বিস্তর ফাঁক লক্ষ্য করা যায়। নারদ কাণ্ডে সিবিআই যে চার্জশিট পেশ করেছিল সেখানে সাংবাদিক ম্যাথু স্যামুয়েলের আইফোনের উল্লেখ ছিল না। ওই আইফোন ফোর এস–এ নারদ স্টিং অপারেশন চালিয়েছিলেন সাংবাদিক ম্যাথু স্যামুয়েল৷ সিবিআই সূত্রে খবর, ওই আইফোন থেকে সব তথ্য উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি৷ পরবর্তীকালে সেই তথ্য হাতে এলে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে তার উল্লেখ করবে সিবিআই৷
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই ক্যালিফোর্নিয়ায় অ্যাপলের সদর দফতর থেকে দুই বিশেষজ্ঞ এসে দিল্লিতে সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গে দেখাও করেন৷ তাঁদের সাহায্যে বেশকিছু তথ্য সিবিআইয়ের হাতে আসে৷ কিন্তু সব তথ্য উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি৷ ওই দুই বিশেষজ্ঞ সিবিআই কর্তাদের জানিয়েছিলেন, আইফোনের ক্লাউড সার্ভারে যে জায়গা ছিল তা অতিরিক্ত টাকা দিয়ে বাড়িয়ে নিয়েছিলেন ম্যাথু স্যামুয়েল৷ আইফোনের ক্লাউড সার্ভারে থাকা তথ্য, ভিডিও হাতে পেতে বিদেশমন্ত্রকের মাধ্যমে ফের অ্যাপলের সদর দফতরে চিঠি পাঠিয়েছে সিবিআই৷
এদিনের চার্জশিটে ঘটনার পুনর্নির্মাণ, সাক্ষীদের বয়ান, অভিযুক্তদের ভয়েস টেস্ট করে পাওয়া তথ্যের কথাই উল্লেখ করেছে সিবিআই৷ নারদ কাণ্ডে রাজ্যের দুই গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী–সহ মোট চারজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে সিবিআই৷ তালিকায় রয়েছেন ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, বিধায়ক মদন মিত্র এবং প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়৷ নারদ কাণ্ডে মোট ১৩ জন অভিযুক্ত ছিলেন৷ তাঁদের মধ্যে প্রথম চার্জশিটে পাঁচ জনের নাম উল্লেখ করেছে সিবিআই৷ এই বিস্তর ফাঁক থাকায় জামিনে মুক্ত হন তৃণমূল কংগ্রেসের হেভিওয়েট নেতারা।