বাংলায় শিক্ষা দুর্নীতির অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা–মন্ত্রীকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠিয়েছে ইডি–সিবিআই। এখন আবার রেশন দুর্নীতির অভিযোগ তুলে রাজ্যের বনমন্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে ইডি। আর তা নিয়ে এখন কেন্দ্র–রাজ্যের সম্পর্কে বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে হঠাৎ শিক্ষাক্ষেত্রে রাজ্যকে সুখবর পাঠাল কেন্দ্র। সমগ্র শিক্ষা মিশন খাতে এবার কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে ২০০ কোটি টাকা পেল রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের পক্ষ থেকে বাংলাকে এই অর্থ দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
এদিকে ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বকেয়া টাকা বারবার চেয়ে ও চিঠি লিখে মেলেনি। তা নিয়ে আন্দোলন পর্যন্ত হয়েছে, নয়াদিল্লিতে গিয়ে সেই আওয়াজ তোলা হয়েছিল। সেখানে স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, চলতি অর্থবর্ষে সমগ্র শিক্ষা মিশন খাতে মোট ১৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই অর্থ মোট আটটি দফায় পাবে রাজ্য সরকার। যার প্রথম দফায় মিলেছে ২০০ কোটি টাকা। সুতরাং নতুন বছরেও কয়েক দফায় এই টাকা পাবে বাংলা। তাতে শিক্ষা খাতে পরিকাঠামোগত কাজ করা যাবে।
অন্যদিকে এই টাকা পাওয়ারই ছিল। এটা নতুন কিছু নয়। সমগ্র শিক্ষা মিশনের অধীনে নানা প্রকল্প চলে থাকে। সেই প্রকল্পগুলি কার্যকর করতে অর্থ ব্যয় করা হয়। কেন্দ্র এই অর্থ বরাদ্দ করে। স্কুলগুলিকে কম্পোজিট অনুদান, পার্শ্বশিক্ষকদের বেতন, গ্রন্থাগার অনুদান, ল্যাবরেটরি অনুদান, স্কুলগুলিকে টিচিং–লার্নিং ম্যাটেরিয়াল প্রদান, স্কুল শিক্ষক এবং পড়ুয়াদের নানা প্রশিক্ষণ–সহ স্কুলশিক্ষার সার্বিক উন্নয়নের কাজ হয় সমগ্র শিক্ষা মিশনের অধীনে। সেই টাকারই একদফা এসেছে বলে খবর।
আরও পড়ুন: হুগলিতে যাত্রীদের নামিয়ে বাস নিয়ে গেল রিকভারি এজেন্সি, শ্রীরামপুর–নিউটাউন রুট বন্ধ
আর কী জানা যাচ্ছে? একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্পে হাজার হাজার কোটি টাকা পাওনা রয়েছে রাজ্য সরকারের। ১০০ দিনের কাজের টাকা থেকে শুরু করে নানা প্রকল্পের টাকা বকেয়া বলে অভিযোগ। সেখানে সমগ্র শিক্ষা মিশনের টাকা আসায় একটু চমকই লেগেছে সকলের। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি নিয়োগ দুর্নীতি রয়েছে রাজ্যে। আর শিক্ষা খাতেই টাকা পাঠাচ্ছে মোদী সরকার। যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের সঙ্গে বিমাতৃসুলভ আচরণ করার অভিযোগ উঠেছে বারবার। সেখানে হঠাৎ শিক্ষা খাতে এই টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আজ, বুধবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বড় আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। ঠিক তখনই ২০০ কোটি রাজ্যের কোষাগারে পৌঁছল। কোথাও কি ভয় কাজ করল? উঠছে প্রশ্ন।