বাংলা থেকে পাহাড়কে আলাদা করার পরিকল্পনা কানে আসতেই ফুঁসে উঠেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই তাঁর উপর ভরসা করছেন বাংলার মানুষ। এই অবস্থায় আবার বড় ইস্যু হয়ে উঠল রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা স্টিল অথরিটি অব ইন্ডিয়ার কলকাতা থেকে স্থানান্তর। তাদের কাঁচামাল সরবরাহের দফতর কলকাতা থেকে সরানো হচ্ছে বলে খবর। এই অভিযোগ করছেন ওই দফতরের কর্মীরা। তাঁদের আশঙ্কা প্রায় ১৫০ জন কাজ হারাতে পারেন স্থানান্তরের জন্য। তাই পদক্ষেপের করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখেছেন তাঁরা।
এই বিষয়ে পথে নেমেছে বাংলা পক্ষ। বাংলা পক্ষের গর্গ চট্টোপাধ্যায় জানান, ‘স্টিল অথরিটি অফ ইন্ডিয়া লিমিটেডের কাঁচামাল সরবরাহ বিভাগ তুলে দেবার কথা জানা যাচ্ছে। গত ৩২ বছর ধরে এই বিভাগটি কলকাতায় অবস্থিত। এই ঘটনা ঘটলে চূড়ান্ত সমস্যায় পড়বে পশ্চিমবঙ্গের দুই রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প সংস্থা দুর্গাপুর ষ্টিল প্লান্ট এবং ইসকো।’ এই পরিস্থিতিতে যাতে পদক্ষেপ করা যায় তার জন্যই মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লেখা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এই বিভাগ তুলে দেওয়া এবং কোন স্থানীয় লৌহ আকরিক খনির সঙ্গে ডিএসপি এবং ইসকো–কে না যুক্ত করার ফলে বাজার থেকে তাদের লৌহ আকরিক অনেক বেশি দামে কিনতে হবে। ফলে খুব লোকসানের মুখে পড়বে পশ্চিমবঙ্গের এই দুটি ঐতিহ্যশালী প্রতিষ্ঠান। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাঁরা চিঠিতে জানিয়েছেন, ‘আমাদের আবেদন এই বিভাগ তুলে দিয়ে ডিএসপি এবং ইসকোর মতো প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেওয়ার প্রচেষ্টাকে রোধ করুন।’
উল্লেখ্য, ১৯৮৯ সালে আরএমডি তৈরি হয়। তার আওতায় আছে ১৫টি লৌহ আকরের খনি এবং কয়লা–সহ বহু খনিজ পদার্থ। পশ্চিমবঙ্গ ও পড়শি রাজ্যে সেলের কাজের জন্য যত স্টিলের পণ্যের ব্যবহার হয় তা তৈরির কাঁচামাল অর্থাৎ লৌহ আকর, কয়লা সরবরাহের ব্যবস্থা করা এদের কাজ। সমস্ত প্রকল্পে লৌহ আকরের মান সুনিশ্চিত করে আরএমডি।