বিধানসভা নির্বাচনে হারের কারণ বিশ্লেষণে বিজেপির কার্যকরণী বৈঠকে কার্যত বলার সুযোগই পেলেন না দলের রাজ্য নেতারা। নামে কার্যকরণী বৈঠক হলেও বক্তব্য রাখতে দেওয়া হল না বিজেপির জেলা সভাপতিদের। বৈঠকের শেষে জেপি নড্ডা বক্তব্য রাখলেও তাকে ভোকাল টনিক ছাড়া আর কিছু বলতে নারাজ রাজ্য নেতারা। দেখা মিলল না শিবপ্রকাশের। ইদের চাঁদের মতো উঁকি দিয়েই অস্তাচলে গেলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়ও। আর সব শেষে হারের দায় চাপল রাজ্য নেতাদেরই ঘাড়ে।
বিধানসভা নির্বাচনে আশানুরুপ ফল না হওয়ার জন্য দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের অতিরিক্ত হস্তক্ষেপকে দায়ী করেছেন রাজ্য নেতারা। মঙ্গলবার দলের কার্যকরণী বৈঠকে সেকথা তুলে ধরার পরিকল্পনা ছিল রাজ্য নেতাদের। কিন্তু বৈঠকে অরবিন্দ মেনন ছাড়া অন্য কোনও কেন্দ্রীয় নেতাকে সেভাবে দেখাই গেল না। বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডা ভার্চুয়াল ভাষণ দিলেও বৈঠকের আলোচনা খুব বেশি শোনেননি তিনি। কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে ভার্চুয়ালি অল্প সময়ের জন্য দেখা গেলেও কোনও কথা বলেননি তিনি। বৈঠকে হাজিরই হননি আরেক পর্যবেক্ষক শিবপ্রকাশ।
বৈঠকে বিজেপির হারের জন্য রাজ্য নেতৃত্বকে কাঠগড়ায় তোলেন অরবিন্দ মেনন। তিনি বলেন, দলের রাজ্য নেতারা ভাবেছিলেন তিনি ফাঁকি দিলেও অন্যরা দলকে উতরে দেবে। কিন্তু শেষে সেই ফাঁকির ফাঁকেই আটকে গিয়েছে বিজেপি।
বৈঠকে দলের জেলা সভাপতিরা বলার সুযোগ পাননি। জয়প্রকাশ মজুমদারের লেখা রাজনৈতিক প্রস্তাব পেশ হয় সেখানে। তাতে হারের কারণের থেকে এরাজ্যে বিজেপির শ্রীবৃদ্ধিকে বেশি করে তুলে ধরা হয়েছে। দলের তরফে সিদ্ধান্ত হয়েছে, এবার বিধানসভা ভিত্তিক হারের কারণ পর্যালোচনায় নামবে তারা।