বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাই মানুষের কাছে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার কাজে কোনওরকম দেরি বরদাস্ত করা হবে না বলে আগেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী জেলায় জেলায় প্রশাসনিক বৈঠকে জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে আধিকারিকদের এই বার্তাই দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই নির্দেশ অনুযায়ী কাজ কতটা এগিয়েছে, তা যাচাই করতে আজ বুধবার পর্যবেক্ষণ বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কী উঠে আসতে পারে সেখানে? নবান্ন সূত্রে খবর, এই বৈঠকে বিশেষভাবে গুরুত্ব পেতে চলেছে গ্রামোন্নয়ন প্রকল্প, শিল্প, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়গুলি। কারণ এই ক্ষেত্রগুলিতে সরকারের যে সামাজিক প্রকল্প রয়েছে তা কতটা পেয়েছেন মানুষজন সেটা খতিয়ে দেখবেন তিনি। কেন্দ্রের বঞ্চনা সত্ত্বেও গ্রামোন্নয়নের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বাংলা। আগামী বছরের শুরুতেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। এই আবর্তে গ্রামোন্নয়নের কাজ কী করে আরও ভালো করা যায় তা নিয়েও বার্তা দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।
আর কী জানা যাচ্ছে? আজ দুপুরে শুরু হবে এই পর্যবেক্ষণ বৈঠক। মুখ্যমন্ত্রী–সহ সমস্ত দফতরের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সচিবরা উপস্থিত থাকবেন নবান্ন সভাঘরে। ডিজি–সহ রাজ্যের উচ্চপদস্থ পুলিশকর্তারাও উপস্থিত থাকবেন বলে সূত্রের খবর। তবে জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপাররা যোগ দেবেন ভার্চুয়ালি। ব্লক ও মহকুমাস্তরের আধিকারিকরাও ভার্চুয়ালি যোগ দেবেন। শেষ মুহূর্তে, প্রতিটি বিএলআরওকেও বৈঠকে যোগ দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নতুন কিছু উঠে আসতে পারে? মুখ্যমন্ত্রী ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের কাজের উপর ক্ষুব্ধ। তাই এই বৈঠকে ভূমি দফতরের আধিকারিকদের যোগ দেওয়া বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। এই ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী কী বার্তা দেন সেটাই দেখার বিষয়। নবান্ন সূত্রে খবর, শিল্প নিয়েও বেশ কিছু বার্তা দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। শিল্পতালুক গড়ার বিষয়টি নিয়েও খোঁজখবর নেবেন। এমনকী দু’সেট করে স্কুল ইউনিফর্ম নিয়ে অভিযোগ জমা পড়েছে তাঁর কাছে। সেটাও খোঁজ নেবেন। আর রাজ্যে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে জানতে চাইতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।