বিজেপি নেতারা ঢাকঢোল পেটাচ্ছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে। কারণ অগস্ট মাসে নিরাপত্তা পরিষদের সভা পরিচালনার ভার নিতে পারেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই খবর ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে। তারপরই খবর এলো, রোমে বিশ্ব শান্তি বৈঠকে আমন্ত্রণ করা হয়েছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে। এই খবর আজ প্রকাশ্যে আসতেই বাঙালি হৃদয়ে হিল্লোল উঠেছে। কারণ যিনি ঝাড়গ্রামে ধামসা–মাদল বাজান, ঘাটালে বানভাসী পরিস্থিতিতে জলে নেমে ত্রান দেন তাঁকে এমন মঞ্চে আমন্ত্রণ নিঃসন্দেহে গর্বের ব্যাপার।
ইতিমধ্যেই তাঁর প্রকল্প কন্যাশ্রী বিশ্ব মঞ্চে পুরষ্কৃত হয়েছে। এবার আগামী ৬ এবং ৭ অক্টোবর ওই বৈঠকে আমন্ত্রিত হয়েছেন ফায়ার ব্র্যান্ড লেডি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, এই আমন্ত্রণপত্র এসে পৌঁছেছে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। নবান্নের কর্তারাও এই খবর জানতে পেরেছেন। আমন্ত্রণপত্রের শুরুতেই সামাজিক ক্ষেত্রে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের অবদানকে সম্মান জানানো হয়েছে। এমনকী তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রোমের কমিউনিটি অফ সান্ট’এগিডিও’র সভাপতি প্রফেসর মার্কো ইমপ্যাগলিয়াজো।
এখানেই শেষ নয়। তাঁর নানা প্রকল্পের ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে। চিঠিতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে তিনি লেখেন, ‘গত ১০ বছরে শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য, সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠা এবং দেশের উন্নয়নে আপনার অবদানের জন্য ব্যক্তিগত অভিনন্দন।’ এই চিঠি পেয়ে মুখ্যমন্ত্রীও আপ্লুত। সামাজিক ন্যায়, বিশ্ব শান্তি, সৌভ্রাতৃত্ববোধ, দুঃস্থদের সাহায্য ও অসহায়দের হয়ে কাজ করে রোমের এই সংস্থাটি। এখানে আমন্ত্রণ পাওয়া রীতিমতো সম্মানের বিষয়। মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে বাংলায় তাও এলো।
জানা গিয়েছে, বিশ্বজুড়ে শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দিতে এখানে সমস্ত ধর্মগুরুদের বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এমনকী বিশ্ব শান্তির এই বিশেষ সম্মানের বৈঠকে আমন্ত্রিতদের তালিকায় রয়েছেন পোপ ফ্রান্সিসও। আমন্ত্রণ রয়েছে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল। মিশরের ইমাম আহমেদ আল তায়িবও রয়েছেন আমন্ত্রিতদের তালিকায়। মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া অবশ্য এখনও মেলেনি।