তখন ঠিক দুপুর। নবান্ন রোজকার মতোই উপস্থিত ছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হঠাৎ নিজে কাজে বসার আগে নবান্নের পাঁচতলায় চলে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাঁকে দেখে তখন হকচকিয়ে যান কর্মী থেকে অফিসাররা। এই পাঁচতলায় রয়েছে স্বরাষ্ট্র ও পার্বত্য বিষয়ক দফতর। সেখানে ঘুরে দেখলেন তিনি। আর কথা বললেন কর্মীদের সঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে অনেকেই নানা কথা জানালেন। এখানেই মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন করেন, বেশিরভাগ চেয়ার ফাঁকা কেন?
আজ, বুধবার দুপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে আসেন। তখন প্রশাসনিক কর্তা থেকে পুলিশ প্রস্তুত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রীকে নবান্নের ১৪ তলায় নিয়ে যাবার জন্য। কিন্তু তিনি নিজের ঘরে না গিয়ে হঠাৎ ঢুকে পড়েন পাঁচতলায়। স্বরাষ্ট্র ও পার্বত্য বিষয়ক দফতরে এই সারপ্রাইজ ভিজিট করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাঁকে দেখে হতচকিত হয়ে পড়েন কর্মীরা। চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ান যে ক’জন ছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঢুকেই দেখেন অধিকাংশ চেয়ারই ফাঁকা। তখনই প্রশ্ন তোলেন।
তারপর ঠিক কী ঘটল? এখানে এসেই উপস্থিত কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, এদিন তিনি জানতে চান, ধর্মঘটের দিন কর্মীরা এসেছিলেন কি না। আর আজ, বুধবার এত কর্মী আসেননি কেন? এছাড়া নানা কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। কর্মীরাও তাঁর সঙ্গে কথা বলে আপ্লুত। বেশ কিছুক্ষণ এখানে উপস্থিত ছিলেন তিনি। তারপর চলে যান ১৪ তলায় নিজের ঘরে। এই খবর যাঁরা অফিসে আসেননি তাঁদের ফোন করে দেন সহকর্মীরা।
হঠাৎ কেন এমন পরিদর্শন? নবান্ন সূ্ত্রে খবর, স্বরাষ্ট্র ও পার্বত্য দফতরের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ গিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। তিনি সব শুনে বিষয়টি কাউকে বলেননি। আর সেইসব অভিযোগ সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে নিজেই পৌঁছে যান পাঁচ তলায়। কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে আসল তথ্য বের করেন নেন তিনি। এবার সেই মতো অ্যাকশন হবে। তবে ১০ মার্চ ডিএ–এর দাবিতে ধর্মঘটের দিন স্বরাষ্ট্র ও পার্বত্য বিষয়ক দফতরে কর্মীদের উপস্থিতির হার নিয়েও খোঁজ নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup