রাজ্যের নির্দেশের পরই পিছিয়ে এল রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। বাতিল করে দেওয়া হল প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের প্রবেশিকা পরীক্ষা। সেইসঙ্গে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সান্ধ্য বিভাগে সিভিল বা মেকানিকাল বা ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পাঁচ বছরের স্নাতক স্তরের প্রবেশিকাও বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।
বুধবার জয়েন্ট এন্ট্রাস বোর্ডের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রবেশিকা পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে না। করা হবে না ভরতির জন্য কাউন্সেলিং, আসন বণ্টনও। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত প্রবেশিকা নেওয়া হবে না। সেই পরিস্থিতিতে এবার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (PUBDET), স্নাতকোত্তর (PUMDET) এবং যাদবপুরের সান্ধ্য বিভাগে সিভিল বা মেকানিকাল বা ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পাঁচ বছরের স্নাতক স্তরের প্রবেশিকা পরীক্ষা (JEEDEC) বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে। গত বছরও করোনাভাইরাসের কারণে শেষে মুহূর্তে প্রেসিডেন্সির প্রবেশিকা পরীক্ষা বাতিল হয়েছিল।
যদিও গত মাসের শেষের দিকে জয়েন্ট বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছিল, যে ১১ টি পরীক্ষা নেয় বোর্ড, সেগুলির সবগুলিই হবে। আগামী ৭ (শনিবার) এবং ৮ অগস্ট (রবিবার) প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক স্তরে প্রবেশিকা পরীক্ষা হবে। আর ১৪ অগস্ট (শনিবার) হবে স্নাতকোত্তর স্তরের ভরতির প্রবেশিকা পরীক্ষা। কিন্তু গত বুধবার পট-পরিবর্তন হয়। রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়ে দেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে ভরতির জন্য কোনও প্রবেশিকা পরীক্ষা নিতে পারবে না কোনও কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়। উচ্চ মাধ্যমিকের রেজাল্টের ভিত্তিতেই কলেজে পড়ুয়াদের ভরতি নিতে হবে। সেইসময় প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া জানিয়েছিলেন, ইতিমধ্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের প্রবেশিকা পরীক্ষা দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতর, জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের চেয়ারম্যান মলয়েন্দু সাহা এবং প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে আলোচনা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।