নজরুল মঞ্চের কলেজ ফেস্ট। আর তার জেরে গায়ক কেকে–র মৃত্যু হয়েছে বলে অনেকে অভিযোগ তুলেছেন। স্বয়ং বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি চক্রান্ত করে হত্যা এবং অন্ধকূপে হত্যার মতো বিস্ফরক অভিযোগ করেছেন। তাই এবার কলেজ ফেস্ট আয়োজনের ক্ষেত্রে দলীয় অনুশাসন জারি করা হল। তাই শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘নজরুল মঞ্চের ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। অনভিপ্রেত। এবার থেকে যে কোনও কলেজ ফেস্টের সরকারের নজর থাকবে।’
ঠিক কী কী অভিযোগ উঠছে? নজরুল মঞ্চের অনুষ্ঠানে নির্দিষ্ট আসন সংখ্যার থেকেও অনেক বেশি লোক ঢুকে পড়েছিল। বাতানুকূল যন্ত্র বিকল হয়ে পড়েছিল। এমনকী বন্ধ ছিল বলেও অভিযোগ তুলেছেন কেউ কেউ। চড়া আলোয় গরম বেড়ে গিয়েছিল বলেও অভিযোগ। তাই গায়ক কেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন এবং অবশেষে তাঁর মৃত্যু হয়েছে এমনই অভিযোগ বিরোধীদের।
ঠিক কী বার্তা দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস? তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব দলের ছাত্র সংগঠনকে বার্তা দিয়েছেন, নজরুল মঞ্চে আর কলেজ ফেস্টের আয়োজন করা যাবে না। কলেজ ফেস্টে কোনওভাবেই বহিরাগত পড়ুয়ারা যোগ দিতে পারবেন না। আসন সংখ্যার বেশি উপস্থিতি কাম্য নয়। আর এবার থেকে সব কলেজ ফেস্টে নজর রাখবে সরকার।
ছাত্র সংগঠন কী জানাচ্ছে? এই বিষয়ে টিএমসিপি নেতৃত্ব জানিয়েছেন, অনুশাসন মেনেই এবার থেকে কলেজ ফেস্ট করা হবে। তবে এই ঘটনার পর কেএমডিএ’র সিইও অন্তরা আচার্যকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁর পদ থেকে। রোয়িং করতে গিয়ে দুই ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনা বিতর্ক তৈরি করেছিল। তারপর নজরুল মঞ্চ। তাই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।