খুলে গিয়েছে অফিস। ওদিকে চলছে না ট্রেন। রাস্তায় বাসও হাতে গোনা। তাতে আবার উঠতে পারবে না আসনসংখ্যার থেকে বেশি যাত্রী। এমনই পরিস্থিতিতে শহরতলি থেকে কলকাতায় অফিসে পৌঁছতে নাজেহাল দশা হচ্ছে চাকুরেদের। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে তার পর মিলছে বাস। চাঁদিফাটা রোদে প্রাণ ওষ্ঠাগত অফিসযাত্রীদের।
সোমবার থেকে বেসরকারি অফিস পুরোপুরি খুলে দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ফলে চাকরি বাঁচাতে অফিসে ছুটতে হচ্ছে অনেককেই। কিন্তু রাস্তায় নেই বাস। বেসরকারি বাস চলছে হাতে গোনা। সরকারি বাস চললেও তা অপ্রতুল। অটোয় ২ জনের বেশি যাত্রী তোলা নিষেধ। ফলে ভাড়া আকাশছোঁয়া।
জানা গিয়েছে, সোমবার থেকে পরীক্ষামূলকভাবে কিছু বাস চালাতে শুরু করেছে বাসমালিকদের সংগঠন বাস ও মিনিবাস সমন্বয় সমিতি। তবে তার ভরসায় রাস্তায় বেরনো যায় না। জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেট ভাড়া না বাড়ালে রাস্তায় বাস নামানো সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে।
ওদিকে বাস চালাচ্ছে সরকারি সংস্থা WBTC, SBSTC ও NBSTC. তবে যাত্রীর সংখ্যায় বাসের তুলনায় কয়েকগুণ। ফলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাসের জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে যাত্রীদের।
পথে নেমেছে ট্যাক্সি ও অ্যাপ ক্যাবও। তার জেরে ২ মাস পর রাস্তায় কোথাও কোথাও যানজট তৈরি হচ্ছে।
বারুইপুর থেকে কলকাতায় চাকরি করতে আসেন এমন এক ব্যক্তি জানালেন, ট্রেন চলছে না। তাই বাসই ভরসা। ওদিকে বাসের সংখ্যা কম। তাই এক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে রয়েছি। সব বাসই ভর্তি। মাঝরাস্তা থেকে ওঠার সুযোগ মিলছে না।
WBTC-র তরফে জানানো হয়েছে। কলকাতা ও শহরতলিতে ৪০টি রুটে বাস চালাচ্ছে তারা।