রাজ্যে করোনার দৈনিক সংক্রমণ ২০ হাজার ছাড়িয়েছে। বিধি নিষেধ জারি করার পরেও সংক্রমণ কিছুতেই কমছে না। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ছড়াচ্ছে মহানগর কলকাতায়। ইতিমধ্যেই কলকাতায় বেশ কয়েকটি কনটেনমেন্ট জোন করা হয়েছে। তারপরও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় কলকাতায় বাড়ানো হল কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা। এক ধাক্কায় কলকাতায় কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হল।
এর আগে কলকাতায় কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা ছিল ২৯ টি। তবে করোনা পরিস্থিতির বাড়বাড়ন্তের কারণে তা বাড়িয়ে ৪৪ টি করেছে কলকাতা পুরসভা।
নতুন করে যে সমস্ত এলাকায় কনটেনমেন্ট জোন করা হয়েছে সেগুলি হল--
১২ এবং ১০ নম্বর বোরো। এই বোরো দুটিতে কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এই বোরোগুলিতে যথাক্রমে ১১ এবং ১০ টি কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে। সংখ্যার নিরিখে এরপরে রয়েছে ১৬ নম্বর বড়। এখানে পাঁচটি কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া, ৩, ৪ এবং ৭ নম্বর বোরতে চারটি করে কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া ১৪ নম্বর বোরোতের তিনটি, ৯ নম্বর বোরোতে দুটি এবং ৪ নম্বর বোরোতে ১ টি কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে। কিছুদিন আগে করোনা সংক্রমনের গ্রাফ কিছুটা নেমেছিল। সেই কারণে কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল অনেকটাই। কিন্তু, তারপরে আবার ঊর্ধ্বমুখি হয়েছে সংক্রমণ।
অন্যদিকে, সংক্রমণের জেরে ইতিমধ্যে বহু হাসপাতালে পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। কলকাতা পুরসভায় হাজারেরও বেশি কর্মী করোনা আক্রান্ত। যার ফলে পুরসভার কাজ ব্যাহত হচ্ছে। সংক্রমণের প্রকোপে আপাতত জন্ম ও মৃত্যু শংসাপত্র দেওয়া বন্ধ রাখা হয়েছে কলকাতা পুরসভায়। তবে অনেকেই সুস্থ হয়ে আবার কাজে ফিরছেন । ফলে সব মিলিয়ে কলকাতা পুরসভার পরিষেবা স্বাভাবিক হতে সময় লেগে যেতে পারে আরও দেড় সপ্তাহ বলে জানিয়েছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।