সংশোধনাগারে সীমিত জায়গায় বন্দিদের সংখ্যা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। সম্প্রতি কিছু বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। আরও কিছু বন্দিকে মুক্তি দেওয়া যায় কিনা, সে বিষয়ে দেখেশুনে রিপোর্ট জমা দিতে বলল কলকাতা হাইকোর্ট। ৮ আগস্টের মধ্যে এই রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, গত জানুয়ারি মাসে মোট ৩৬ জন মরণাপন্ন বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। আরও কজন মরণাপন্ন বন্দি রয়েছে, তা পর্যালোচনা করে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। পাশাপাশি সংশোধনাগারে বন্দিদের উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা হচ্ছে কিনা, সেই বিষয়টি নজরে রাখতে হবে। বন্দিদের চিকিৎসা সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশ করতে হবে। শুধু তাই নয়, হাইকোর্টের তরফে জানানো হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে সাজাপ্রাপ্ত বন্দিদের মুক্তির জন্য একটি কমিটি রয়েছে। সেই কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সম্প্রতি ১০০ জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তবে জেলা আদালতের প্রক্রিয়ার জন্য সেই বন্দিদের ছাড়া সম্ভব হয়নি। দ্রুত সেই সব বিষয়গুলির নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, আরও কিছু বন্দিকে মুক্তি দেওয়া যায় কিনা, তা পর্যালোচনা করে দেখুক রাজ্য।
একইসঙ্গে হাইকোর্টের তরফে জানানো হয়েছে, অন্য দেশ থেকে অনুপ্রবেশকারী যাদের সাজার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে ও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী যারা মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে, তাদের বিষয়টি যাতে দ্রুত মিষ্পত্তি নয়, সেই বিষয়টি দেখতে হবে। এই সংক্রান্ত বিষয়ে আদালতে পেশ করতে হবে। উল্লেখ্য, দিনের পর দিন রাজ্যের বিভিন্ন সংশোধনাগারে যেভাবে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, তাতে রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিচারপতি।