বিপুল পরিমানে নমুনা জমে যাওয়ায় পশ্চিমবঙ্গে নতুন করে করোনা পরীক্ষার জন্য লালারস সংগ্রহ বন্ধ রাখার নির্দেশ জারি করেছে স্বাস্থ্য ভবন। সোমবার সিপিএমের মুখপত্র গণশক্তিতে এমনই দাবি করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন পরীক্ষাগারগুলিতে অন্তত ৭ দিনের নমুনা জমে রয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে কয়েক দিন নমুনা না পাঠানোর অলিখিত নির্দেশিকা গিয়েছে জেলাগুলিতে।
উত্তরবঙ্গের এক স্বাস্থ্য আধিকারিকের বয়ানে, ‘নমুনা সংগ্রহ প্রায় বন্ধ। নতুন নমুনা পাঠানোর দরকার নেই বলে জানানো হয়েছে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজসহ একাধিক হাসপাতালে নমুনার পাহাড় জমে রয়েছে। নমুনা সংগ্রহ বন্ধ থাকায় সংক্রমণ ভয়াবহ আকার নিতে পারে।‘
স্বাস্থ্য ভবনের এক আধিকারিকের কথায়, ‘পরীক্ষাগারগুলিতে যে নমুনা পড়ে রয়েছে তাই পরীক্ষা করে উঠতে পারছি না। নতুন নমুনা রাখার জায়গা নেই। তার পরিকাঠামো কোথায়? তাই জেলাগুলিকে নমুনা পাঠাতে নিষেধ করা হয়েছে।’
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ‘হুগলি, মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, নদিয়া, মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে নতুন নমুনা নেওয়া হচ্ছে না।
পশ্চিমবঙ্গে বর্তমানে ৪৮টি করোনা পরীক্ষা কেন্দ্র রয়েছে। তার পর কেন সামলানো যাচ্ছে না নমুনার চাপ? বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যে পদ্ধতিতে করোনা পরীক্ষা হয় তাতে প্রথমে লালারসের নমুনা থেকে ভাইরাসের RNA আলাদা করতে হয়। এই কাজটি ম্যানুয়াল ও অটোমেটিক ২ পদ্ধতিতে করা যায়। ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে এই কাজ করা সময়সাপেক্ষ। আর অটোমেটিক পদ্ধতিতে করতে গেলে যে যন্ত্র লাগে তা পশ্চিমবঙ্গে শুধুমাত্র SSKM ও স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে সেই যন্ত্র রয়েছে। বাকি পরীক্ষাগারগুলি বারবার এই যন্ত্রের দাবি জানালেও কান দেয়নি স্বাস্থ্য ভবন।