বেসরকারি হাসপাতাল, ল্যাবরেটরি বা প্যাথলজিক্যাল সেন্টারে কোভিড পরীক্ষার খরচ ফের কমাল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার নবান্নে এক সাংবাদিক বৈঠকে এই কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এদিন বলেন, ‘বেসরকারি হাসপাতালে আরটিপিসিআর টেস্ট করতে গেলে এখন খরচ হয় ১২৫০ টাকা। এ বার থেকে ওই টেস্ট করানোর জন্য বেসরকারি হাসপাতালে খরচ কমিয়ে করা হচ্ছে ৯৫০ টাকা।’
এর আগেও দু’বার রাজ্যের তরফ থেকে কমানো হয় বেসরকারি জায়গায় করোনা পরীক্ষার খরচ। লকডাউন শুরুর প্রথম দিকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় কোভিড টেস্টের জন্য ৪৫০০ টাকার কাছাকাছি নেওয়া হচ্ছিল। জুন মাসে সরকারের পক্ষ থেকে তা কমিয়ে অর্ধেক করার নির্দেশ দেওয়া হয়। জানানো হয়, করোনা পরীক্ষার জন্য কোনও বেসরকারি সংস্থা ২২৫০ টাকার বেশি নিতে পারবে না।
তার পর পুজোর আগে ফের কমানো হয় করোনা পরীক্ষার খরচ। সে সময় কোনও বেসরকারি ল্যাবরেটরি বা প্যাথলজিক্যাল সেন্টারে করোনা পরীক্ষা করতে খরচ পড়ত ২২৫০ টাকা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী করোনা পরীক্ষা রেট কমিয়ে আনা হয় ১৫০০ টাকায়। সে সময় এই সিদ্ধান্তকে মুখ্যমন্ত্রীর শারদ উপহার বলেই উল্লেখ করছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিকে, বুধবারই করোনা পরীক্ষার খরচ আরও কমিয়েছে ওডিশা সরকার। বেসরকারি পরীক্ষাগারে আরটি–পিসিআর পদ্ধতিতে করোনা পরীক্ষা করতে ওডিশায় এতদিন খরচ হত ১২০০ টাকা। বুধবার ওডিশা সরকার জানিয়েছে, বেসরকারি ক্ষেত্রে এই পদ্ধতিতে করোনা পরীক্ষার সর্বোচ্চ খরচ পড়বে ৪০০ টাকা।
এদিন মমতা করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যে প্রতি কেন্দ্রের ভূমিকাকে সমালোচনা করে বলেন, ‘রাজ্যের ১০ কোটি মানুষকে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। কোভিড এবং আমফান বিপর্যয়ের পরেও কেন্দ্রের তরফে পর্যাপ্ত আর্থিক সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। এখনও কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের পাওনা ৮৫ হাজার কোটি টাকা। কেন্দ্রের তরফে শুধুই বঞ্চনা মিলেছে।’
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এদিন আরও বলেন, ‘কোভিড পরিস্থিতিতেও সরকারি কর্মীচারীদের নানারকম সুবিধা দিয়েছে রাজ্য সরকার। এখানকার সরকারি কর্মীরা ভাল আছেন। লকডাউনের পরে অভিবাসীদের আনতে ৩০০ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে বাসে করে আনা হয়েছে লকডাউনে আটকে–পরা শ্রমিকদের। জুন পর্যন্ত বিনামূল্যে রেশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে এই রাজ্যে।’