কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে ভোট লুঠের অভিযোগ তুলে সিপিআইএম–কংগ্রেস–বিজেপিকে একসঙ্গে রাস্তায় বসে প্রতিবাদ মিছিল করতে দেখা গিয়েছিল। এবার একই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল সিপিআইএম এবং বিজেপি। পৃথক পৃথকভাবে মামলা দায়ের করলেও বিষয়টি এক। তবে দু’পক্ষকেই মামলা ও অভিযোগপত্র জমার সম্মতি দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি।
কলকাতা পুরসভা নির্বাচন নিয়ে বিজেপি যে হাইকোর্টে যাবে তা শোনা গিয়েছিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর গলায়। এবার সেটাই হল। গতকাল বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ফেসবুক পোস্ট করে লিখেছিলেন, মমতা পরাজিত। সুতরাং আইনের পথ তাঁরাও ধরবেন সেটাও বোঝা যাচ্ছিল। কিন্তু একসঙ্গে একই অভিযোগে মামলা দায়ের করবেন সেটা বোঝা যাচ্ছিল না। কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে মামলা করার অনুমতি চান কলকাতা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিআইএম প্রার্থী দেবলীনা সরকার। তাঁকে সেই মামলা করার অনুমতি দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। আগামী ২৩ ডিসেম্বর মামলার শুনানি। অভিযোগপত্র দাখিল করতে চেয়ে আবেদন করে বিজেপিও। সেই আবেদনও মঞ্জুর করা হয়েছে।
এই বিষয়ে সোমবার বিজেপির আইনজাবী বলেন, ‘মহামান্য কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও শান্তিপূর্ণ এবং অবাধ নির্বাচন হয়নি। বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে। আদালত সমস্ত বুথে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর নির্দেশ দিলেও রাজ্য নির্বাচন কমিশন তা করেনি। এই বিষয়ে তথ্যপ্রমাণ আমরা আদালতের কাছে জমা দিয়েছি। সেই মামলার শুনানি হবে ২৩ ডিসেম্বর।’
নানা অভিযোগ তুলে বিরোধীরা পুনর্নির্বাচনের দাবি তুলতে থাকে। যা রাজ্য নির্বাচন কমিশন খারিজ করে দিয়েছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশন সাফ জানিয়ে দিয়েছে, ‘কোনও বুথেই পুনর্নির্বাচন নয়।’ তারপরই এই দুটি রাজনৈতিক দল ঠিক করে বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবেন। সেই মতোই আবেদন দাখিল করা হয়েছে। যদিও এই বিরোধী ঐক্যেকে রামধনু জোট বলা হচ্ছে।