ফের রাজ্য-রাজ্যপাল নতুন সংঘাত। বৃহস্পতিবার রাজভবন থেকে বিবৃতি জারি করে অবিলম্বে নিয়োগসংস্থা ওয়েস্ট বেঙ্গল পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি)-এর চেয়ারম্যান ও সদস্য নিয়োগ করতে বলা হয়েছে। না হলে রাজ্যের বিভিন্ন দফতরে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত রয়ে গিয়েছে। এর ফলে সমস্যায় পড়ছেন চাকরি প্রার্থীরা। যদিও রাজ্যপালের এই দাবিকে আমল দিতে নারাজ শাসকদল। তাদের বক্তব্য সরকার সঠিক সময়ে নিয়োগ চেয়ারম্যান ও সদস্য নিয়োগ করবে।
গত বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনে অশান্তির সময় রাজভবনে ‘পিসরুম’ চালু করেন রাজ্যপাল। কেউ কোথাও আক্রান্ত হলে যেখানে ফোন করে অভিযোগ জানাতে পারবেন। পঞ্চায়েত ভোট শেষ হয়ে যাওয়ার পরও তিনি ‘পিসরুম’ চালু রেখেছেন। অনেকেই সেখানে ফোন করে নানা বিষয়ে অভিযোগ জানান। সেই ভাবে পিএসসি-র চেয়ারম্যান না থাকায় নিয়োগ স্থগিত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে। এর প্রেক্ষিতেই রাজভবনের চিঠি রাজ্যকে বলে জানা গিয়েছে।
পড়ুন। ২১ ঘণ্টা তল্লাশির পর তিনটি ট্রাঙ্ক ও ট্রলিতে নথি নিয়ে প্রসন্নর অফিসে ছাড়ল ইডি
নিয়োগ দুর্নীতির কারণে অপসারণ করা হয় পিএসসি-র চেয়ারম্যানকে। তার পর থেকে শূন্য পড়ে রয়েছে পদটি। বেশ কয়েকজন আধিকারিকের পদও ফাঁকা। এই পরিস্থিতিতে নিয়োগ এবং প্রশাসনিক কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না পিএসসি। তারই অবসান চেয়ে রাজ্যপাল চিঠি দিয়েছেন রাজ্যকে।
বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হয় রাজ্যের অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে। পিস রুমে অভিযোগ জমা পড়ছে শুনেই তিনি বলেন, ‘কবে থেকে আবার পিসরুমে অভিযোগ জমা পড়া শুরু হল? উনি খবরে ভেসে থাকার জন্য এ সব কথা বলছেন। পিএসি-তে চেয়ারম্যান ও সদস্য নিয়োগের ব্যাপারে কখন পদক্ষেপ করতে হবে, সেটা রাজ্য সরকার ভালই জানে। তাই, এতে কারও পরামর্শ বা নির্দেশের প্রয়োজন নেই।’
পড়ুন। শুরু হয়েছে নতুন শিক্ষাবর্ষ, স্কুলে স্কুলে পৌঁছায়নি প্রয়োজনীয় পাঠ্যবই
প্রসঙ্গত, এর আগে বিভিন্ন ইস্যুতে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের পরিসর ক্রমশ চওড়া হয়েছে। তা সে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ হোক বা রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা। সেই সংঘাতে নতুন সংযোজন পিএসসি-র চেয়ারম্যান নিয়োগ ইস্যু। যদিও সরকারি ভাবে এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।