বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > Debangshu Bhattacharya: ‘রক্ত লাগলে বলবেন’ বুদ্ধদেবকে নিয়ে ফেসবুক পোস্ট করে বিতর্কে দেবাংশু

Debangshu Bhattacharya: ‘রক্ত লাগলে বলবেন’ বুদ্ধদেবকে নিয়ে ফেসবুক পোস্ট করে বিতর্কে দেবাংশু

দেবাংশু ভট্টাচার্য ও বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।

ফেসবুকে দেবাংশু ভট্টাচার্য লিখেছেন, ‘বুদ্ধবাবুকে রক্ত দিতে হবে শুনলাম। প্রয়োজনে গ্রুপসহ জানাবেন। তৃণমূল কর্মীরা দিয়ে আসবে।’ তাঁর এই পোস্টের পরেই নেটিজেনদের একজন কমেন্ট বক্সে লিখেছেন, ‘এটা জানলে বুদ্ধবাবু রক্ত নেবেন না।’

রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য হাসপাতলে ভর্তি হওয়ার পরেই একের পর এক বিতর্কত মন্তব্য করছেন শাসক দলের নেতারা। এবার বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে বিতর্কে জড়ালেন তৃণমূলের মুখপাত্র তথা শাসক দলের সোশ্যাল মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক দেবাংশু ভট্টাচার্য। তাঁর এই পোস্টের পর একদিকে যেমন নেটিজেনদের অনেকেই তাঁকে সমর্থন করেছেন, আবার অনেকেই তাঁকে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি।

আরও পড়ুন: রক্ত দেওয়া হতে পারে বুদ্ধদেবকে, বাইপ্যাপ সাপোর্ট খুললেই বলছেন কথা- সূত্র

ঠিক কী লিখেছেন দেবাংশু?

ফেসবুকে দেবাংশু ভট্টাচার্য লিখেছেন, ‘বুদ্ধবাবুকে রক্ত দিতে হবে শুনলাম। প্রয়োজনে গ্রুপসহ জানাবেন। তৃণমূল কর্মীরা দিয়ে আসবে।’ তাঁর এই পোস্টের পরেই নেটিজেনদের একজন কমেন্ট বক্সে লিখেছেন, ‘এটা জানলে বুদ্ধবাবু রক্ত নেবেন না।’ তার উত্তরে দেবাংশু লেখেন, ‘জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক একবার বলেছিলেন, সিপিএমের লোকেদের সঙ্গে চা খাবেন না, বিয়ে বাড়িতে যাবেন না..। তখন ভাবতাম কেন এসব কথা বলছেন! আজ ভাবি, কেন আরেকটু বেশি বললেন না।’ আবার দেবাংশুর পোস্টকে সমর্থন জানিয়ে কমেন্ট বক্সে এক নেটিজেন লেখেন, ‘কৃষকের রক্ত  না হলে ওনার ব্লাড গ্রুপ ম্যাচ করবে না ! সিঙ্গুর বা নন্দীগ্রামের কৃষক হলে ভাল হয় !’

যদিও দেবাংশুর পোস্টের পর অনেকেই রক্ত দেওয়ার জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে প্রস্তুত হয়েছেন। এছাড়াও, তৃণমূলকেও কটাক্ষ করেছেন নেটিজেনদের অনেকেই। একজন কমেন্ট বক্সে পালটা লেখেন, ‘অভিষেক বাবু কে চোখের ডক্টর বলেছেন রক্ত দিতে হবে শুনলাম। প্রয়োজনে গ্রুপ সহ জানাবেন, বামফ্রন্ট কর্মীরা দিয়ে আসবে।’ অন্যদিকে, এসএফআই নেত্রী দীপ্সিতা ধর দেবাংশকে কটাক্ষ করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘সাধু উদ্যোগ। আপাতত বুদ্ধবাবুর কমরেডরা রয়েছেন। রক্তের অভাবে কাউকে যেন মরতে না হয় তার জন্য সারা বছর রক্তদান শিবির করে থাকে এসএফআই, ডিওয়াইএফআই। বুদ্ধবাবুর রক্তের অভাব হবে না।’

উল্লেখ্য, শনিবার জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে আলিপুরের উডল্যানস হাসপাতালে ভর্তি হন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। বুদ্ধবাবুর শারীরিক অবস্থা ছিল উদ্বেগজনক। তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন চিকিৎসকরা।তবে বর্তমানে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়েছে। তাঁর রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম থাকায় তাঁকে এক ইউনিট রক্ত দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে বুদ্ধবাবুর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। এখন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বারবার বাড়ি যাওয়ার জন্য চিকিৎসকদের কাছে আবেদন জানাচ্ছেন।

 

বন্ধ করুন