বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > Dilip Ghosh: ২০১৯-এর লোকসভার কথা মনে করিয়ে স্ট্যালিনের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে মমতাকে তোপ দিলীপের

Dilip Ghosh: ২০১৯-এর লোকসভার কথা মনে করিয়ে স্ট্যালিনের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে মমতাকে তোপ দিলীপের

দিলীপ ঘোষ। 

মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিনের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘উনি ২০১৯ সালে সেই ডায়লগগুলো মনে করুন কী বলেছিলেন। বিজেপি একটাও সিট পাবে না মোদী হটাও দেশ বাঁচাও। তারপরে মোদী ৩০৩ টি সিট পেয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে ১৮ টা সিট পেয়েছিলাম।’

বুধবার চেন্নাই সফরে গিয়ে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠক শেষে দুজনেই অবশ্য জানিয়েছেন যে এটি সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ ছিল। তবে এটি শুধুই যে সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ ছিল তা মানতে নারাজ বিরোধীরা। এ নিয়ে মমতাকে কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিনের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘উনি ২০১৯ সালে সেই ডায়লগগুলো মনে করুন কী বলেছিলেন। বিজেপি একটাও সিট পাবে না মোদী হটাও দেশ বাঁচাও। তারপরে মোদী ৩০৩ টি সিট পেয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে ১৮ টা সিট পেয়েছিলাম। তখন লালু, মূলায়ম, শিবসেনা অনেকের সঙ্গে ছিলেন। তারা এখন অনেকে শহীদ হয়ে গিয়েছেন। এখন খুঁজে খুঁজে আর কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না।’ বিরোধীদের মতে, ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের লক্ষ্যে আঞ্চলিক দলকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য স্ট্যালিনের সঙ্গে এই বৈঠক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

যদিও বৈঠক শেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ‘স্ট্যালিন আমার ছোট ভাইয়ের মতো। আগে থেকে তার সঙ্গে বৈঠকের কোনও কথা ছিল না। আমাদের রাজ্যপালের পারিবারিক অনুষ্ঠানের যোগ দেওয়ার জন্য আমাকে অনুরোধ করা হয়েছিল। সেই জন্য আমি এখানে এসেছি। তবে এতদূর এসে স্ট্যালিনের সঙ্গে দেখা না করে কীভাবে যেতে পারি! ওর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় হয়েছে। এটা সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎকার ছিল।’

অন্যদিকে, গুজরাটের সেতু বিপর্যয় আবারও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আক্রমণ করেন দিলীপ। ‘সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি হওয়া উচিত’ মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, ‘ওখানকার রাজ্য সরকার সঙ্গে সঙ্গে তদন্ত কমিটি করে দিয়েছে। ১৫ মিনিটের মধ্যে উদ্ধারকার্য শুরু হয়েছিল। প্রথম আহত ব্যক্তি ১৯ মিনিটের মধ্যে হাসপাতালে পৌঁছেছিল। সকালবেলা পৌঁছে গিয়েছিলেন সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী। দুদিন পর গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। আর এখানে মাল নদীতে যে বিপর্যয় হয়েছিল তার নিজস্ব সরকারের লোকেরা দুর্ঘটনা ঘটিয়েছিল। সেখানে যেতে মুখ্যমন্ত্রীর ৭ দিন সময় লেগেছে। তাই অন্যের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে লাভ নেই।’

বন্ধ করুন