বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এমনকী অনুব্রত মণ্ডল জামিন পেলে পঞ্চায়েত নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে না বলে জোরালো সওয়াল করেন মেদিনীপুরের সাংসদ। বুধবার নিউটাউনে প্রাতঃভ্রমণের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিলীপ ঘোষ এমন সব কথাই শুনিয়েছেন। যদিও তৃণমূল কংগ্রেস মনে করছে, বিজেপি এখনও কেষ্ট জুজু দেখছে।
ঠিক কী বলেছেন দিলীপ ঘোষ? এবার পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘আগেরবারও কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছিলাম। কিন্তু পাইনি। কারণ রাজ্য সরকার চায়নি। আগের পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকেই এই রাজ্যে বিজেপি নজর কাড়তে শুরু করে। এবার আমরা অনেক বেশি প্রস্তুত। সর্বশক্তি দিয়ে মোকাবিলা করা হবে। এই রাজ্যে নির্বাচন শান্তিপুর্ন হয় না। তৃণমূল কংগ্রেস এবং পুলিশ দিয়ে ভোট হবে। আমরাও মোকাবিলা করব। গত পঞ্চায়েতে ওরা এতো শক্তি লাগিয়েও আটকাতে পারেনি। এবার আরও বেশি লড়াই হবে। আমরা কেন্দ্রীয় বাহিনী চাই। যাতে মানুষ সাহস করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ভোট দেয়। যেভাবে গ্রামেগঞ্জে খুনোখুনি শুরু হয়ে গিয়েছে, তাতে শান্তিপূর্ণ ভোট হওয়া নিয়ে সংশয় আছে।’
অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে কী বললেন দিলীপ? এই পঞ্চায়েত নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে গেলে অনুব্রত মণ্ডলের জামিন পাওয়া চলবে না বলে মনে করেন তিনি। এই বিষয়ে মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ বলেন, ‘বীরভূমের ব্যাপার আপনারা জানেন। খুব চেষ্টা চলছে, অনুব্রতকে জামিন করিয়ে নেওয়ার। উনি যদি জামিনে বেরিয়ে আসেন, তাহলে নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে না। কারণ, এবার ওরা আরও দুর্বল। গতবারের চেয়ে ওদের অবস্থা খারাপ। শান্তিতে পঞ্চায়েত নির্বাচন করতে গেলে অনুব্রত মণ্ডলকে ভিতরে রাখার দরকার এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী দরকার।’
বিজেপি সাংগঠনিকভাবে কতটা প্রস্তুত? এই প্রশ্নের জবাবে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘আমরা তৈরি। জেলায় জেলায় বৈঠক চলছে। ৬ নভেম্বর থেকে কেন্দ্রীয় নেতারা আসছেন। সাংগঠনিক বৈঠক শুরু হয়ে যাচ্ছে। গতবারের চেয়েও বেশি, এবার ৫০ শতাংশ তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী নির্দল হয়ে যাবে। নিজেরাই প্রার্থী দেওয়া নিয়ে মারামারি করবে। পশ্চিমবঙ্গে এই সরকার থাকলে সিএএ কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা কম। এরা উদ্বাস্তুদের ভোট নেবে। তাদের জন্য কিছু করবে না। সরকার বদল হলে দেখা যাবে।’