এর আগে রাজ্যে বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে বিনিয়োগ নিয়ে উঠে এসেছে আদানি গোষ্ঠীর নাম। তারমধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য হল ভোজ্যতেল শিল্প এবং তাজপুর সমুদ্র বন্দর। এবার কেন্দ্রের ভারতমালা প্রকল্পে জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজেও আদানি গোষ্ঠীর নাম উঠে আসছে। যদিও এই সড়ক প্রকল্প কেন্দ্রের। তবে এর ফলে আখেরে রাজ্যের লাভ হবে বলেই মনে করছেন শিল্প বিশেষজ্ঞরা।
ভারতমালা প্রকল্পে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণ হবে। এ রাজ্যের ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের আওতায় পানাগড় থেকে ডানকুনি পর্যন্ত সড়ক বেড়ে ছ'লেনের করা হবে। এই সম্প্রসারণের একটি অংশের দায়িত্বে আদানি গোষ্ঠী। দেশের অন্যতম বড় শিল্প গোষ্ঠীগুলি পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে আগ্রহ দেখালে রাজ্যে শিল্প গড়ে তোলা সম্ভব বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই প্রকল্পটি কেন্দ্রের হলেও আগামী দিনে রাজ্যে লগ্নি বাড়াতে পারে এই সংস্থা, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। বিরোধীরা গৌতম আদানিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘনিষ্ঠ তকমা দেওয়া হলেও আসন্ন বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিটে (বিজিবিএস) এই গোষ্ঠী এ রাজ্যে আরও বিনিয়োগ করবে কি না তাও দেখার।
তবে আদানিরা বাংলায় লগ্নি করলে এরাজ্যে যেমন কর্মসংস্থান তৈরি হবে তেমনিই রাজ্যের আর্থিক অবস্থার উন্নতি হবে। রাজ্যের বিরোধী দলের মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা চাই রাজ্যে শিল্প হোক। কিন্তু, বর্তমান সরকারের আমলে কোনও শিল্পনীতি নেই। ফলে এই সরকারের আমলে শিল্প হওয়া সম্ভব নয়।’ এর উত্তরে অর্থ দফতরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের পাল্টা, ‘রাজনীতির চশমাতে সবকিছু দেখা সম্ভব নয়।’