রাজ্যের অন্যতম সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি সারদা কাণ্ড নিয়ে এখনও বিতর্কের রেশ কাটেনি। তারই মধ্যে ২০২০ সালে প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি দিয়ে বেশ কয়েকজনের নাম করেছিলেন সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন। শুক্রবার বিধাননগরের এমপি এমএলএ আদালতে সারদা কাণ্ডের শুনানির দিন সেই চিঠি নিয়ে ফের নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এদিন আদালতে হাজিরা দিয়েছিলেন সুদীপ্ত সেন। তাকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী টাকা নিয়েছিলেন বলে দাবি করেন সুদীপ্ত সেন।
এছাড়াও, ওই চিঠিতে সুদীপ্ত দাবি করেছিলেন সিপিএম নেতা বিমান বসু, সুজন চক্রবর্তী, কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরীকেও তিনি টাকা দিয়েছিলেন। তাঁর দাবি ছিল, সুজন চক্রবর্তীকে তিনি ৯ কোটি টাকা দিয়েছিলেন, বিমান বসুকে ২ কোটি এবং অধীররঞ্জন চৌধুরীকে দিয়েছিলেন ৬ কোটি টাকা। এ প্রসঙ্গে সুজন চক্রবর্তী এদিন দাবি করেন, সুদীপ্ত সেনের চিঠির কোনও মূল্য নেই। ভোটের আগে তৃণমূলের সব রাজনৈতিক নেতাদের নাম ছিল চিঠিতে। এখন ভোট শেষ হয়ে গিয়েছে শুধু একজন তৃণমূল নেতার নাম রয়েছে।’ এই চিঠি যখন প্রকাশ্যে এসেছিল তখন সুজন চক্রবর্তী বলেছিলেন, ‘এতদিন ধরে সিট, সিবিআই তদন্ত করে কিছু পেল না। হঠাৎ চিঠি দিয়ে এসব নাম জানাচ্ছেন সুদীপ্ত সেন। এটা খুবই কাঁচা হাতের কাজ’ বলে দাবি করেছিলেন সুজন। অন্যদিকে, মুকুল রায়েরও নাম ছিল চিঠিতে। তিনি সেই সময় দাবি করেছিলেন, কিছু এসে যায় না। অভিযোগ উঠেছিল যে এই চিঠি সুদীপ্ত সেনের লেখা নয়।
তবে দুর্নীতি মুক্ত ভাবমূর্তিকেই রাজনৈতিক ময়দানে মূল হাতিয়ার করছে সিপিএম। এই অবস্থায় বাম নেতাদের বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ ওঠায় স্বাভাবিকভাবেই তা বামেদের পক্ষে বড় ধাক্কা বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।