দ্বন্দ্বে জেরবার বিজেপি। জেলায় জেলায় পদ ছাড়ার হিড়িক। নদিয়া থেকে মুর্শিদাবাদ একই ছবি। উপনির্বাচনে পরপর দুটি আসনে পরাজিত হওয়ার পরে পরিস্থিতি যেন আরও ঘোরালো হয়ে উঠছে। এদিকে বিজেপির মতো দলেরও ঘরের কথা একেবারে হাটের মাঝে চলে আসছে মাঝেমধ্যেই। সেই সব বিস্ফোরক কথাবার্তা ঘুরছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এতে আরও বেশি মুখ পুড়ছে বিজেপি নেতৃত্বের। শাসকদলও এনিয়ে নানা ভাবে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না। সব মিলিয়ে একেবারে হইহট্টোগোল অবস্থা বিজেপির অন্দরে।
এদিকে সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে বিক্ষুব্ধদের এভাবে বাইরে মুখ খোলা আটকাতে বিশেষ উদ্যোগ দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। মূলত বিক্ষুব্ধদের মুখে লাগাম পড়ানোর উদ্যোগ। দল সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি। সেখানেই কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে বিজেপির রাজ্য সভাপতি স্পষ্টতই জানিয়ে দেন, 'যাঁদের যেকোনও ক্ষোভ বিক্ষোভ আছে, তা আমাকে বলতে হবে। মিডিয়াতে নয়। মিডিয়া রাজ্য সভাপতি নয়। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।'
এদিকে বিজেপির রাঢ়বঙ্গের দায়িত্ব রয়েছে সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের উপর। কিন্তু তিনিই মিটিংয়ে ডাক পাননি বলে অভিযোগ। তিনি বলেন, আমার কাছে কোনও ইনফর্মেশনই নেই। আমাকে কেউ কিছু বলেননি। এনিয়ে সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, 'রাজ্যের পদাধিকারীদের বৈঠক ছিল না। তাঁরা কেন ডাক পাবেন? সবাইকে সব কাজের জন্য আমাদের পার্টি ডাকে না। নির্দিষ্ট কাজের জন্য নির্দিষ্ট লোককে ডাকা হয়। '