কলকাতা বন্দর থেকে উদ্ধার প্রায় ২০০ কোটি টাকার নিষিদ্ধ মাদক। গুজরাত পুলিশের অ্য়ান্টি টেররিস্ট শাখা ও ডাইরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স যৌথভাবে অভিযান চালায় কলকাতা বন্দরে। গোপন সূত্রে খবর পেয়েই এই অভিযান চালানো হয়। বাতিল জিনিসপত্রের একটি কন্টেনারের মধ্যে একটি লোহার গিয়ারবক্সের মধ্যে রাখা ছিল বিপুল পরিমাণ মাদক। প্রায় ৪০ কেজি মাদক রাখা ছিল তার মধ্যে।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে সম্ভবত দুবাই থেকে এই বিপুল মাদক কলকাতা বন্দরে আনা হয়েছিল। তবে এগুলি কার কাছে পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এদিন মাদক উদ্ধারের ঘটনায় বড় সাফল্য বলেই মনে করা হচ্ছে। এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কলকাতায় এসে গুজরাত এটিএসের এই অভিযানকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য পড়ে গিয়েছে।
একটি যন্ত্রাংশের মধ্যে অত্যন্ত সুকৌশলে এই মাদকগুলি লুকানো ছিল। বাইরে থেকে দেখে বোঝার একেবারেই উপায় নেই। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে ৭২টি প্যাকেট মাদক এখানে পাওয়া গিয়েছে। এগুলি হেরোইন বলেই প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে।
কিন্তু কলকাতায় কোথায় যেত এই কন্টেনার? কার নামে এসেছিল এই কন্টেনার? তবে কি কলকাতাকে সেফ করিডোর করে মাদক পাচারের চক্র সক্রিয় হয়েছে? গুজরাত এটিএস ইতিমধ্যেই এনিয়ে খোঁজখবর শুরু করেছে। তবে আন্তর্জাতিক ড্রাগ চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত চাঁইরা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। পুলিশের চোখে ধুলো দেওয়ার জন্য হেভি মেটাল স্ক্র্যাপের মধ্যেই রাখা ছিল মাদক। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না।