গতকালই গাজোলের মাছ বিক্রেতা জয়প্রকাশ সাহার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল প্রায় ১.৪ কোটি টাকা নগদ। এরপর জয়প্রকাশকে গ্রেফতারও করেছিল সিআইডি। আর এবার গোয়েন্দাদের নজর পড়ল এক ওষুধ ব্যবসায়ীর উপর। জানা গিয়েছে, জয়প্রকাশের বাড়ির পাশেই এক হাতুড়ে ডাক্তারের ওষুধের দোকান আছে। মাদক এবং কাশির সিরাপ পাচারের ঘটনায় সেই ওষুধের দোকানদারও যুক্ত কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, মাছ ব্যবসায়ীকে জেরা করে পাচারের সঙ্গে যুক্ত আরও তিন জনের নাম জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। সেই তিনজনের মধ্যে ওই ওষুধের ব্যবসায়ীরও নাম রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ফেনসিডিল বিক্রি করে এই চক্র বিপুল অর্থ উপার্জন করত বলে দাবি করেছে সিআইডি। এদিকে এই গোটা চক্রের সঙ্গে কোনও প্রভাবশালী জড়িত কি না, সেটাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গতকাল প্রায় সাত ঘণ্টা ধরে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে মালদার গাজোলের বাসিন্দা জয়প্রকাশ সাহার বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় বিপুল পরিমাণ অর্থ। দক্ষিণ দিনাজপুরের এক বাসিন্দাকে গ্রেফতার করে জয়প্রকাশের খোঁজ পেয়েছিলেন তদন্তকারীরা। এরপর গতকাল রাতভর মাছ ব্যবসায়ী জয়প্রকাশ সাহাকে জেরা করে সিআইডি। তল্লাশির সময় ওই মৎস্য ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে টাকার পাহাড় উদ্ধার করা হয়েছে। থরেথরে ৫০০ এবং ২,০০০ টাকার নোট সাজানো ছিল। এরপর জয়প্রকাশকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই নাকি আরও তিনজনের কথা জানতে পারেন তদন্তকারীরা। যদিও বিষয়টি নিয়ে সিআইডির তরফে আপাতত সরকারিভাব কিছু জানানো হয়নি।