গরমের ছুটিতে কেটে গিয়েছে টানা দু’মাস। তার উপর ছিল পঞ্চায়েত নির্বাচন। এই দুটি কারণে অনেকটা সময় স্কুল বন্ধ রাখতে হয়েছে। ফলে পঠনপাঠনে সরাসরি প্রভাব পড়েছে। অতিরিক্ত ছুটি থাকায় সেভাবে পড়াশোনা হয়নি। আর তাই সিলেবাস অর্থাৎ পাঠ্যক্রম শেষ করা কঠিন হয়ে পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ সামনে দুর্গাপুজো। আর হাতে মাত্র দু’সপ্তাহ সময়। তারপরই পুজোর ছুটি পড়ে যাবে। ফলে আবার শিকেয় উঠবে পড়াশোনা। তাই পুজোর যে লম্বা ছুটি তাতে স্কুল খোলা রাখার একটা প্রস্তাব দিয়েছেন বেশ কিছু শিক্ষকরা।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? এই বিস্তর ছুটিতে বহু স্কুল পাঠ্যক্রম শেষ করতে মাথার ঘাম পায়ে পেলছে। এবার দুর্গাপুজো দেরিতে হওয়ায় পুজোর ছুটিও পড়ছে দেরি করে। ফলে পুজোর ছুটির শেষ করে স্কুল খুললেই ফাইনাল পরীক্ষার সময় এসে যাচ্ছে। আবার রয়েছে মাধ্যমিক–উচ্চ মাধ্যমিকের টেস্ট রয়েছে। সুতরাং একাধিক ক্লাসের পাঠ্যক্রম আদৌ শেষ হবে কি না সেটা নিয়েই দুশ্চিন্তা তৈরি হয়েছে শিক্ষকদের মধ্যে। তাই পাঠ্যক্রম শেষ করতে লক্ষ্মীপুজো এবং কালীপুজোর মাঝের ছুটির দিনগুলিতে স্কুল খোলা রাখার কথা বলছেন কিছু স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা। সেক্ষেত্রে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের বিজ্ঞপ্তি প্রয়োজন।
ঠিক কে, কি বলছেন? এই পুজোর ছুটিতে স্কুল খোলা রাখার প্রস্তাব উঠতে শুরু করেছে। এই বিষয়ে হিন্দু স্কুলের প্রধানশিক্ষক শুভ্রজিৎ দত্ত জানান, পুজোর ছুটির পরে স্কুল খুলছে ১৬ নভেম্বর। আর বেশিরভাগ স্কুলেই ১৭ নভেম্বর থেকে ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হবে। এভাবেই পরীক্ষা নিতে নির্দেশ দিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। আবার নভেম্বর মাসেই হবে মাধ্যমিক–উচ্চ মাধ্যমিকের টেস্ট। তাই এতদিন ছুটি কাটানোর পরে স্কুল খুললেই পরীক্ষা দিতে হলে পড়ুয়াদের প্রস্তুতি কতটা থাকবে সেটা যথেষ্ট সন্দেহের। তাই অন্তত একসপ্তাহ স্কুল খোলা রাখার প্রস্তাব উঠছে। বাঙুর মেমোরিয়াল মাল্টিপারপাজ স্কুলের প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় বড়ুয়া জানান, লক্ষ্মীপুজো থেকে কালীপুজোর মধ্যে সাত দিন স্কুল খোলা রাখার প্রস্তাব উঠছে। যাতে সবাই পাঠ্যক্রম শেষ করতে পারে।
আরও পড়ুন: কলকাতায় পা রাখলেন মোহত ভাগবত, সংঘ প্রধান যাবেন বেলুড় মঠ–দক্ষিণেশ্বর
আর কী জানা যাচ্ছে? তবে দুর্গাপুজোর ছুটির মধ্যে স্কুলের দরজা খোলা রাখতে গেলে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের বিজ্ঞপ্তি প্রয়োজন। সেটা না হলে এই প্রস্তাব বাস্তবায়িত হবে না। আবার একাংশ শিক্ষকরা ছুটিতে বেড়াতে যান। তাই স্কুলে আসতে চাইবেন না। সেক্ষেত্রে বিজ্ঞপ্তি থাকলে সুবিধা হবে। তাছাড়া কিছু স্কুল চাইলে এটা হবে না। সংখ্যা বেশি হওয়া দরকার। লক্ষ্মীপুজো ও কালীপুজোর মধ্যে একসপ্তাহ স্কুল খোলার কোনও পরিকল্পনা এখনও নেই বলেই মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সূত্রে খবর। তবে প্রস্তাব জমা পড়ায় পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।