কয়লা দুর্নীতি কাণ্ডে বড় পদক্ষেপ করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। লালা ওরফে অনুপ মাজির সুপ্রিম কোর্টের দৌলতে রক্ষাকবচ রয়েছে। তাই তাকে গ্রেফতার করা যাচ্ছে না। কিন্তু তার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। সোমবার লালাকে নিজাম প্যালেসে তলব করা হয়েছিল। এই নিয়ে চতুর্থ দফায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই আধিকারিকরা। তারপরই অনুপ মাজি ওরফে লালার ১৬৫.৮৬ কোটি টাকার অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ইডি। মঙ্গলবারই লালার রক্ষাকবচের মেয়াদ শেষ হচ্ছে।
সিবিআই–ইডি, কয়লাপাচার মামলায় কেন্দ্রীয় সংস্থার সাঁড়াশি চাপের মধ্যে রয়েছে কিংপিন লালা। ইতিমধ্যেই একাধিকবার সিবিআই দফতরে হাজিরা দিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হলেও তার জবাবে সন্তুষ্ট নয় সিবিআই। সোমবার চতুর্থ দফায় কেন্দ্রীয় সংস্থার প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় লালাকে। তারপরই জানা যায়, লালার এই বিপুল টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। সূত্রের খবর, মূলত ইস্পাত কারখানার প্রায় ১৬৬ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
ইডি সূত্রে খবর, আসানসোল এবং পশ্চিম বর্ধমানের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে একাধিক স্পঞ্জ আয়রন কারখানা ছিল লালার। ইসিএল থেকে যে কয়লা লালা তুলে আনত, তার একটা অংশ সেই স্পঞ্জ আয়রন কারখানাতেও ব্যবহার করা হতো। এই তথ্য হাতে পেয়েই ইডি নতুন করে উদ্যোগ নেয় এবং লালার এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়।
লালার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই আবেদন জানাবে রক্ষাকবচ তুলে নেওয়ার জন্য। যাতে কয়লাপাচার মামলার অন্যতম অভিযুক্তকে হেফাজতে নিয়ে তদন্ত করা যায়। আগামী ৬ এপ্রিল পর্যন্ত লালার রক্ষাকবচ রয়েছে। তাই ওই দিনের পরই আদালতে আবেদন জানানো হবে সেই কবচ প্রত্যাহারের। সিবিআই ভেবেছিল লালাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কয়লাপাচার কাণ্ডের মূল পাণ্ডাদের নাগাল পাওয়া যাবে। কিন্তু কোনওভাবেই তার থেকে সেইসব তথ্য মেলেনি। সিবিআই চাইছে নিজের হেফাজতে নিয়ে লালাকে জেরা করতে।