ভুয়ো IAS পরিচয়ে জালিয়াতি শুরুর আগে নিজেকে NGO-র কর্ণধার বলে দাবি করে তালতলা এলাকায় প্রভাব বিস্তার করেছিলেন দেবাঞ্জন দেব। এমনটাই জানাচ্ছেন তালতলার দূর্গাচরণ ডক্টর রোডের বাসিন্দারা। গত বছর সেখানে একটি ক্লাবে গুদাম ঘর ভাড়া নেন দেবাঞ্জন। স্থানীয়দের আস্থা অর্জন করতে এলাকায় বিলি করেন মাস্ক ও স্যানিটাইজার।
তালতলা কালীবাড়ি অ্যাসোসিয়েশন নামে ওই ক্লাবের সদস্যরা জানিয়েছেন। গত বছর জুনে করোনার প্রথম ঢেউ চলাকালীন তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন দেবাঞ্জন। জানান একটি NGO-র কর্ণধার তিনি। ওই ক্লাবে একটি ঘরে মাস্ক ও স্যানিটাইজার রাখতে চান। ক্লাব কর্তৃপক্ষের দাবি, মহামারিকালে মাস্ক স্যানিটাইজার মজুত রাখার জন্য কোনও ভাড়া নেননি তাঁরা। বদলে এলাকা স্যানিটাইজ করে দিতে অনুরোধ করেন। সেই অনুরোধ মেনে ২ বার এলাকা স্যানিটাইজ করেন দেবাঞ্জনের সংস্থার কর্মীরা। এলাকাবাসীদের মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিলি করেছিলেন তিনি। এর জেরে দেবাঞ্জনের ওপর এলাকাবাসীর আস্থা আরও বাড়ে।
জানা গিয়েছে, বড়বাজারের মেহেতা বিল্ডিং থেকে ওই মাস্ক ও স্যানিটাইজার কিনেছিলেন দেবাঞ্জন। তার পর তা মজুত করেন তালতলায়। ক্লাবের সদস্যরা জানিয়েছেন, নিজেকে IAS বলে কখনোই দাবি করেননি তিনি। ওদিকে গোয়েন্দারা জানিয়েছেন দেবাঞ্জনের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটিও ভুয়ো। তার কোনও রেজিস্ট্রেশন নেই।