কোনও কাজই হচ্ছে না কন্যাশ্রীতে। কর্মসংস্থানের অভাবে দ্রুত বিয়ে হয়ে যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের যুবতীদের। একই অবস্থা প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খণ্ডেরও। এমনই উঠে এসেছে কেন্দ্রের একটি সমীক্ষায়।
সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, গত মাসের শেষে প্রকাশিত কেন্দ্রীয় সরকারের ওই রিপোর্টে জানানো হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে ৫৪.৯ শতাংশের বেশি মেয়েদের ২১ বছর বয়সের আগে বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। যা জাতীয় গড় ২৯.৫ শতাংশের অনেক বেশি।
প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্বের অধ্যাপক সুকন্যা সর্বাধিকারি জানিয়েছেন, ‘গ্রামীণ এলাকায় মেয়ে কবে স্বনির্ভর হবে সেজন্য অপেক্ষা করার ক্ষমতা বাবা - মায়ের নেই। তাই কর্মসংস্থানের অভাবে বহু মেয়ে অল্প বয়সে বিয়ে করতে বাধ্য হচ্ছে।’ ওদিকে রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি বিভিন্ন জেলায় ঘুরি। কেন্দ্রের দেওয়া তথ্যের সঙ্গে আমি বাস্তবের মিল পাইনি। কয়েকটি জেলায় মেয়েদের কম বয়সে বিয়ে দেওয়ার একটা প্রবণতা থাকতে পারে। কিন্তু সেটা আমরা টের পেলেই দ্রুত তা রুখতে পদক্ষেপ করি।’ তিনি বলেন, ‘কন্যাশ্রীর মতো প্রকল্প রাজ্যের মেয়েদের কণ্ঠ মজবুত করতে সাহায্য করেছে।’
‘বামেরা বিরোধিতাটা ভাল করতে পারে’, করুণাময়ীতে বামেদের আন্দোলনে মন্তব্য দিলীপের
রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন সুদেষ্ণা রায় বলেন, ‘১৮ বছর বয়সের পর একজন মেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে যায়। তখন সে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিতেই পারে। পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যে মেয়েদের কণ্ঠ অনেক বলিষ্ঠ। তাদের দিয়ে জোর করে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়।’
তবে এই সমীক্ষার সত্যতা নিয়েও একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। কেন্দ্রের দাবি সমীক্ষা হয়েছে ২০২০ সালে করোনাকালে। প্রশ্ন উঠছে, লকডাউনের মধ্যে কী করে তথ্য সংগ্রহ করলেন সমীক্ষকরা। রাজ্য সরকারের একটি সূত্র জানিয়েছে, ‘আমি সমীক্ষার সত্যতা নিয়ে কোনও প্রশ্ন তুলছি না। কিন্তু করোনাকালে সমীক্ষার পদ্ধতি স্পষ্ট নয়। সরকার নাবালিকা বিবাহ ও কম বয়সে বিয়ে রুখতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করছে।’