রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের হুঁশিয়ারির কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। প্রশ্ন তুললেন, কী এমন করেছি যে বারবার সম্মানহানি করতে হবে। বৃহস্পতিবার বহরমপুরে এক সভায় সুকান্তবাবু বলেন, ‘এবার হাকিমকে ভিতরে ঢোকাতে হবে।’
সুকান্তর মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় শুক্রবার বিভানসভার বাইরে দাঁড়িয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘কী এমন অন্যায় করে ফেললাম যে আত্মসম্মানটা নষ্ট করে দিতে হবে? সব সময় একটা হেনস্থা। কিছু সোশ্যাল মিডিয়া আর মিডিয়া যেন মনে হয় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বলে চলেছে ববি হাকিম তৃণমূল করে মানেই ও অসাধু। আর যারা গেরুয়া রঙের ওয়াশিং মেশিনে চলে যাবে তখনই সে সাধু হয়ে যাবে। এখানে থাকলে অসাধু, সেখানে গেলেই সাধু’।
‘আমাকে জেলে ঢোকানো ছিল ষড়যন্ত্র’, মুক্তি পেয়ে মন্তব্য সিপিএম নেত্রী ফুল্লরার
ফিরহাদ মনে করান, ‘ভারতে আইন, সংবিধান, বিচারব্যবস্থা আছে। যা ইচ্ছা তাই করা যায় না। যা ইচ্ছা তাই বলা যায় না। সবার একটা আত্মসম্মান আছে। এই কাজের জন্য আমার ব্যক্তিগত ক্ষতি হয়েছে। কেন শুধু অবিজেপি দলের নেতাদের ওপরেই তল্লাশি চলবে? পৃথিবীর সব থেকে বড় পার্টিতে কি কেউ অসাধু নেই। তার মিডিয়া ট্রায়াল হবে না কেন’?
তাঁর দাবি, ‘জেলে যেতে ভয় লাগে না। কিন্তু সম্মানহানিতে নিশ্চিতভাবে ভয় লাগে। যতদিন বেঁচে থাকব অন্যায়ের প্রতিবাদ করব। কিন্তু সম্মানহানিটা দীর্ঘদিন ধরে চলছে। এটা অন্যায়। আমি সুকান্তবাবুকে বলব, এজেন্সি নিয়ে এসে আমাকে ঢুকিয়ে দিন। কিন্তু সম্মানহানি করবেন না। আপনিও কোনও মায়ের সন্তান, আমিও কোনও মায়ের সন্তান’।
ফিরহাদের প্রশ্ন, ‘কেসই হল না, তার আগেই মিডিয়া ট্রায়াল হয়ে যাচ্ছে? কেন কী অন্যায় করেছি আমি? কী পাপ করেছি’?
বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে এক সভায় সুকান্তবাবু বলেন, ‘পার্থবাবু আর অনুব্রত মণ্ডল প্রতিযোগিতা করছেন। বারবার তাঁরা ডাক্তারখানায় যাচ্ছেন। তাই এবার হাকিমকে ভিতরে ঢোকাতে হবে। তাঁকেও প্রস্তুত থাকতে বলুন। তাঁকেও আমরা ভিতরে ঢোকানোর ব্যবস্থা করব। কাউকে আর হাসপাতালে যেতে হবে না। ভিতরেই হাকিম সাহেব চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেবেন। ’ বলে রাখি, আরবি ভাষায় ‘হাকিম’ শব্দের অর্থ চিকিৎসক।