এখনও অব্যাহত শিশু মৃত্যু। ঘটনাস্থল সেই বিসি রায় হাসপাতাল। আর আতঙ্কের নাম অ্যাডিনোভাইরাস। আর জ্বর–শ্বাসকষ্ট নিয়ে একের পর এক শিশুর মৃত্যু ঘটে চলেছে। প্রত্যেকটি শিশু মৃত্যুই অ্যাডিনোভাইরাসের জেরে হয়েছে তেমন নয়। তবে বি সি রায় শিশু হাসপাতাল কিংবা কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্ত্বরে পা রাখলেই বাবা–মায়ের বুক ফাটা কান্না শোনা যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আবার শিশুমৃত্যুর খবর এল বিসি রায় হাসপাতাল থেকে। রবিবার রাত থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত মোট চারজন শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
ঠিক কী ঘটেছে বিসি রায় হাসপাতালে? হাসপাতাল সূত্রে খবর, রবিবার রাতে মৃত্যু হয় উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর বাসিন্দা মারিয়া মণ্ডলের (৫)। শিশুটি জ্বর–শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে ভর্তি হয়েছিল। তারপর মারা যায়। আবার রবিবার রাতেই আরও এক শিশুর মৃত্যু হল। শিশুটি উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়ার বাসিন্দা। এই শিশুরও জ্বর–শ্বাসকষ্টের সমস্যা ছিল। রাত বেশি গড়াতেই খবর আসে হাসপাতালে আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এমনকী সোমবার সকালেও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? জানুয়ারি মাস থেকে আজ ১৩ মার্চ ২০২৩ পর্যন্ত রাজ্যে মোট মৃত শিশুর সংখ্যা ১৪৭। কলকাতার বিসি রায় শিশু হাসপাতালেই মোট ৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে সংখ্যাটা ২০জন। আরজি করে মৃতের সংখ্যা ২৫। চিত্তরঞ্জন সেবা সদনে ১০ শিশু মারা গিয়েছে। নস্টিটিউট অব চাইল্ড হেলথে ৭ জন শিশু মারা গিয়েছে। যদিও পিয়ারলেস হাসপাতালে সংখ্যাটা মাত্র দু’জন। পুরুলিয়া মেডিক্যাল কলেজে একজনের মৃত্যু হয়েছে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে দু’জন শিশুর জীবন গিয়েছে। রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ, বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ এবং বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে যথাক্রমে দুজন করে শিশুর মৃত্যু হয়।
কী তথ্য উঠে আসছে? সম্প্রতি আইসিএমআর নাইসেডের সমীক্ষা রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, অ্যাডিনোভাইরাসের প্রকোপের শীর্ষে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। পাঁচ রাজ্যের মধ্যে প্রথমেই বাংলা। তাই প্রশ্নের মুখে পড়েছে স্বাস্থ্য ভবন। যদিও স্বাস্থ্য ভবনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অ্যাডিনোভাইরাস নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই। পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। এই ভাইরাস থেকে মুক্তি মিলবে কবে? এই প্রশ্নই এখন শোনা যাচ্ছে শিশুদের পরিবারের সদস্যদের মুখে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup