সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট এবং সাংবাদিক বৈঠক থেকে প্রশ্নটা প্রথম তোলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এবার শুভেন্দু অধিকারীর সেই প্রশ্নই প্রতিধ্বনিত হতে দেখা গেল রাজ্যপালের চিঠিতে। মুখে কিছু না বললেও চিঠিতে নিজের অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলে সূত্রের খবর। আজ, রবিবার রাজভবন থেকে চিঠিটি গিয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, ১৪৪ ধারা লঙ্ঘন করে রাজভবনের সামনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধরনা কেমন করে? রাজভবন সূত্রে খবর, রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে চিঠি লেখা হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যার পরই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস কলকাতা ফিরছেন। ঠিক তার আগেই নবান্নে পৌঁছে গিয়েছে রাজভবনের চিঠি।
এদিকে একশো দিনের কাজের টাকা নিয়ে বঞ্চনা এবং আবাস যোজনায় প্রাপ্য না মেলা নিয়ে রাজভবনের নর্থ গেটের সামনে ধরনায় বসেছে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। একশো মিটারের মধ্যেই চলছে সেই অবস্থান বিক্ষোভ। সেখানে উপস্থিত রয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য সহ রাজ্যের শীর্ষ নেতা–মন্ত্রীরা। আর এই ধরনা নিয়েই এবার কড়া পথে হাঁটল রাজভবন। আজ, রবিবার রাজ্যপাল দার্জিলিংয়ে অসুস্থবোধ করেন। তারপরই কলকাতায় ফেরার সিদ্ধান্ত নেন। আজ সন্ধ্যার বিমানে বাগডোগরা থেকে কলকাতা আসবেন আনন্দ বোস। ঠিক তার আগের দুপুরে মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধরনার প্রথমদিনই শুভেন্দু অধিকারী টুইট করে ছিলেন। তাঁর প্রশ্ন,‘রাজভবনের ১৫০ মিটারের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি থাকার কথা। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস সেখানে ধরনাও করছে।’ কলকাতায় ফেরার পর সেই একই প্রশ্নে নবান্নকে বিঁধতে পারেন খোদ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসই। রাজভবনের পক্ষ থেকে কড়া চিঠি লেখা হয়েছে মুখ্যসচিবকে। ১৪৪ ধারা লঙ্ঘন করে কেমনভাবে অভিষেকদের ধরনা চলছে? এই প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি আরও দুটো বিষয়ে ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘ক্ষমতা কারও কাছে সারাজীবন থাকে না’, ঘাটালে পৌঁছে সিবিআই নিয়ে মন্তব্য দেবের
আর কী জানা যাচ্ছে? রাজভবন সূত্রে খবর, নবান্নকে পাঠানো চিঠিতে মোট তিনটি প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এক, ১৪৪ ধারা কার্যকর থাকা সত্ত্বেও মঞ্চ বেঁধে ধরনার অনুমতি কি আদৌ দিয়েছিল কলকাতা পুলিশ? দুই, যদি দেওয়া হয়ে থাকে তবে কে দিলেন এবং কোন আইনে দিলেন? তিন, যদি অনুমতি ছাড়াই ধরনা মঞ্চ বাঁধা হয়ে থাকে এবং লাগাতার বিক্ষোভ জমায়েত চলতে থাকে তবে পুলিশ এখনও পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ করেছে? এই সব প্রশ্নের যত দ্রুত সম্ভব উত্তর দিতেও বলেছে রাজভবন। তবে উত্তরবঙ্গ থেকেই রাজ্যপাল সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘বঞ্চিতদের সঙ্গে আমি কথা বলব। তাঁদের থেকে সরাসরি অভিযোগ শুনব। শুধু কেন্দ্র নয়, বিষয়টির সঙ্গে যুক্ত সবপক্ষের সঙ্গে কথা বলব।’