হরিদেবপুরে দায়ী পুরসভাই, মেনে নিয়ে শো কজ ইঞ্জিনিয়ারকে, বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ

হরিদেবপুরে কিশোরের বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে সোমবার ঘটনাস্থলে যান তদন্ত কমিটির সদস্যরা। এর পরই কার্যত দায় স্বীকার করে নেয় পুরসভা। প্রশ্ন ওঠে, কী করে বিএসএনএলের ধাতব টেলিফোনের খুঁটিতে আলো লাগানো হল?

হরিদেবপুরে নিহত কিশোর।

কলকাতার দক্ষিণ শহরতলি হরিদেবপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কিশোরের মৃত্যুর ঘটনায় জমা পড়ল তদন্ত রিপোর্ট। তাতে পুরসভার গাফিলতি কার্যত মেনে নিয়েছেন পুর কমিশনার বিনোদ কুমার। একই সঙ্গে শো কজ করা হয়েছে পুরসভার আলো বিভাগের এক একজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারক। সাসপেন্ড করা হয়েছে ওই বিভাগের এক সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারকে। তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিনোদ কুমার।

হরিদেবপুরে কিশোরের বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে সোমবার ঘটনাস্থলে যান তদন্ত কমিটির সদস্যরা। এর পরই কার্যত দায় স্বীকার করে নেয় পুরসভা। প্রশ্ন ওঠে, কী করে বিএসএনএলের ধাতব টেলিফোনের খুঁটিতে আলো লাগানো হল? ওই খুঁটিতে আলো তাঁর অনুমতিতে লাগানো হয়নি বলে দাবি করেন পুরসভার আলো বিভাগের ডিজি। তাহলে আলো লাগাল কে তা জানতে ১৩ নম্বর বরোর একজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারকে শো কজ করেছে পুরসভা।

ওদিকে পুরসভার তরফে সিদ্ধান্ত হয়েছে, শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে বিপজ্জনক খুঁটি ও বাতিস্তম্ভ দেখলে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। পার্ক সার্কাস এলাকাতেও টেলিফোনের খুঁটিতে আলো লাগানো আছে বলে অভিযোগ।

১১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রত্না শূরের দাবি, ‘ওই জায়গাটা একটু অন্ধকার ছিল। স্থানীয়দের নিরাপত্তার জন্যই টেলিফোনের পরিত্যক্ত খুঁটিতে আলোটি লাগানো হয়।’