চিকিৎসা পরিষেবা পেতে বাড়িতে থাকা করোনাভাইরাস রোগীরাই ইদানিংকালে স্বাস্থ্য দফতরের টেলি পরিষেবায় যোগাযোগ করতেন। এবার করোনা রোগীদের সঙ্গে ফোনে নিয়মিত যোগাযোগ করবে স্বাস্থ্য ভবনও। প্রশাসনের বৈঠকে এই পদ্ধতিই চূড়ান্ত হয়েছে। সংক্রমণ যথাসম্ভব ঠেকানোর সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যুহার কমানো সরকারের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। তাই ব্যবস্থাপনায় বদল আনা হল।
জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকার আগেই উপসর্গহীন বা মৃদু উপসর্গযুক্ত রোগীদের বাড়িতে থেকে চিকিৎসার ছাড়পত্র দিয়েছে। কখন হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা করাতে হবে, রোগীদের অনেকেই তা বুঝে উঠতে পারেন না। অন্য রোগব্যাধি আছে, এমন রোগীদের শারীরিক অবস্থার আচমকা অবনতি হলে যখন তাঁরা হাসপাতালে পৌঁছান, তখন অনেক দেরি হয়ে যায়। ফলে মৃত্যুহার বেশি হয়। তাই ঠিক হয়েছে, একদিন অন্তর বাড়িতে থাকা রোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ করবে স্বাস্থ্য দফতর। ফোন এবং এসএমএসের মাধ্যমে নিয়মিত খোঁজখবর রাখা হবে প্রত্যেকের।
২২ সেপ্টেম্বর থেকে প্রথম সপ্তাহ ধরলে তখন মৃত্যুহার ছিল ১.৮৭%। গত সপ্তাহ থেকে তা কমে হয়েছে ১.৪৮%। এটা বজায় রাখা প্রয়োজন। রোগীদের উপরে নজরদারির নতুন পদ্ধতি এবং স্থানীয় ডাক্তারদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মৃত্যুহার আরও কমানো সম্ভব বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। স্বাস্থ্যকর্তারা জানাচ্ছেন, বাড়িতে থাকা রোগীদের অনেকেই স্থানীয় চিকিৎসকদের পরামর্শের উপরে নির্ভর করেন। যাঁরা পাড়ার চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দেবেন, তাঁদের কোভিড চিকিৎসার প্রশিক্ষণ আগামী শনিবার শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন।
উল্লেখ্য, এতদিন আশা–কর্মীরা জেলাগুলিতে বাড়ি বাড়ি ঘুরে রোগ সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতেন। এদিনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আশাকর্মী ছাড়াও ১০ লাখ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর এক কোটি সদস্যকে এই কাজে লাগানো হবে। মাস্ক পরা, হাত জীবাণুমুক্ত রাখার মতো স্বাস্থ্যবিধিও প্রচার করবেন তাঁরা।