রাজ্য জুড়ে গাড়িতে যথেচ্ছ লালবাতি-নীলবাতি ব্যবহার করা হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতের প্রশ্ন, গাড়িতে এই ধরনের বাতি ব্যবহারের বিরুদ্ধে রাজ্যে কটা মামলা হয়েছে? আগামী সোমবারের মধ্যে এ নিয়ে রাজ্যের অবস্থান জানাতে বলল হাই কোর্ট।
বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির অনুব্রত মণ্ডলের গাড়িতে লালবাতি লাগানো নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। সেই মামলার শুনানিতে আদালত রাজ্য সরকারের কাছে গাড়িতে লালবাতি-নীলবাতি লাগানো নিয়ে প্রশ্ন করে আদালত। প্রধান বিচারপতি জানতে চান, এত লালবাতি-নীলবাতির ব্যবহার কেন? রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা গাড়িতে এই সব বাতি চোখে পড়ে? সব কি বৈধ?
প্রসঙ্গত, বিনা অনুমতিতে গাড়িতে লালবাতি ব্যবহার করলে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪১৯ ধারায় তা অপরাধ। বিচারপতি জানতে চান চান, তা সত্ত্বেও কেন গাড়িতে লালবাতি ব্যবহার হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে রাজ্যে কটা মামলা হয়েছে? আগামী সোমবারের মধ্যে রাজ্যকে তা জানাতে হবে।
আইন অনুযায়ী মন্ত্রী, আমলা, সাংসদ, বিধায়করাও লালবাতি লাগানোর অনুমতি পান না। তা সত্ত্বেও কী করে তৃণমূলের জেলা সভাপতি হয়ে অনুব্রত মণ্ডল কী করে লালবাতি লাগানোর অনুমতি পেলেন? এই প্রশ্ন তুলে বিজেপির লিগাল সেলের আইনজীবী তরুণজ্যোতি তেওয়ারি হাই কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা করেন। এই মামলার প্রক্ষিতে রাজ্য সরকার একটি রির্পোট পেশ করে আদালতে। সেই রির্পোটে জানানো হয় কারা লালবাতি ব্যবহার করতে পারেন। তবে অনুব্রতর বিরুদ্ধে পুলিশ কেন ব্যবস্থা করেনি তা স্পষ্ট করেনি রাজ্য।