তাঁর অলক্ষ্যে স্ত্রী পরকীয়ায় লিপ্ত রয়েছেন। শুধুমাত্র এই সন্দেহে স্ত্রীর গলায় ওড়নার ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। স্ত্রীকে খুন করার পর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণও করলেন অভিযুক্ত স্বামী।
বৃহস্পতিবার চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে চিৎপুরের বীরপাড়া রাজা মণীন্দ্রচন্দ্র রোড এলাকায়। স্ত্রীকে খুনের দায়ে অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করেছে চিৎপুর থানার পুলিশ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে তারা। ওই বধূর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনা ঘিরে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। কেন এই ঘটনা ঘটল, তা জানতে তদন্তে শুরু করেছে পুলিশ। মৃতের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের ঘটনায় জেরা করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম মুনমুন দাস। তাঁর স্বামী ধৃত সঞ্জয় দাস পেশায় অটোচালক। দম্পতির ১৮ বছরের এক ছেলেও রয়েছে। ওই এলাকায় একটি বহুতল বাড়ির তিন তলায় ভাড়া থাকছিল দাস পরিবার। মৃত ওই বধূ একটি নামী কেকের দোকানে কাজ করতেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সব সময় স্ত্রীকে পরকীয়ায় লিপ্ত থাকার সন্দেহ করতেন সঞ্জয়। তাঁর বদ্ধমূল ধারণা হয়েছিল যে, মুনমুন তার অলক্ষ্যে লুকিয়ে কারোর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে লিপ্ত রয়েছেন। এমনকী, স্ত্রী কারও সঙ্গে গোপনে কথাও বলতেন বলে সন্দেহ করতেন সঞ্জয়। এই নিয়ে নিয়মিত স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ লেগেই থাকত।
অভিযোগ, বৃহস্পতিবার এই নিয়ে চরম অশান্তি শুরু হয় দু’জনের মধ্যে। তখনই রাগের বশে স্ত্রীকে গলায় ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে। এই কাণ্ড ঘটানোর পর সোজা চিৎপুর থানায় হাজির হয় সঞ্জয়। তারপর স্ত্রীকে খুনের ঘটনার বিষয়ে পুলিশ অফিসারদের জানাতেই হতবাক হয়ে যান তাঁরা। ঘটনার পর সঞ্জয়কে সঙ্গে নিয়ে ওই ভাড়া বাড়িতে যান তদন্তকারীরা। সেখান থেকেই ওই মহিলার দেহ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সময় ওই দম্পতির ছেলে বাড়িতে ছিল না। ওই দম্পতি দু’জনের কাজের জন্য ঘর থেকে বের হচ্ছিলেন। সেই সময় এই ঘটনা নিয়ে দু’জনের মধ্যে ফের অশান্তি বেধেঁ যায়। যার ফলে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে গিয়েছে বলে তদন্তকারীদের দাবি।