পঞ্চায়েত ভোট শেষ হয়েছে। ফলাফলও বের হয়ে গিয়েছে। সিংহভাগ পঞ্চায়েতই তৃণমূলের দখলে। এবার উন্নয়নের পালা। এবার বিশ্বব্যাঙ্ক থেকে ৩২০০ কোটি টাকা ঋণ পাচ্ছে রাজ্য়। মূলত পঞ্চায়েতের কাজে ব্যবহার করার জন্য এই ঋণ দেওয়া হবে। আইএসজিপি প্রকল্পে( Institutional Strengthening of Gram Panchayat) সহায়তার জন্য় এই ঋণ দেওয়া হবে বলে খবর। এক্ষেত্রে কেন্দ্রের সবুজ সংকেতও মিলছে। সেক্ষেত্রে গ্রামীণ উন্নয়নের পরিকাঠামো তৈরির ক্ষেত্রে এবার ভরা জোয়ার আসার সম্ভাবনা প্রবল।
২০১০ সাল থেকে শুরু হয়েছিল আইএসজিপি প্রকল্পের কাজ। প্রায় হাজার খানেক গ্রাম পঞ্চায়েতকে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়। ধাপে ধাপে কাজ শুরু হয়। তবে মোটের উপর আইএসজিপির কাজে সন্তুষ্ট বিশ্বব্যাঙ্ক। আর সেই নিরিখেই বিরাট লোনের অনুমোদন। সূত্রের খবর ডিসেম্বরে এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। এনিয়ে এই প্রকল্পে কর্মরত কর্মী, আধিকারিকরা কিছুটা অনিশ্চয়তার মধ্য়ে ছিলেন। তবে তার আগে বিশ্বব্যাঙ্কের টাকা চলে এলে ফের জোরকদমে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রকল্পের ফেজ ৩ প্রকল্পের জন্য় এই বিপুল টাকা ব্যয় করা হবে বলে খবর। পঞ্চায়েতের আধুনিকীকরণ, কর্মীদের কম্পিউটার সহ প্রযুক্তিগত দিক থেকে প্রশিক্ষণ দেওয়া, সামগ্রিক পরিকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে এই অর্থ ব্যয় করা হবে। বিশ্বব্যাঙ্কের প্রতিনিধিরা ইতিমধ্য়ে রাজ্যস্তরে পরিদর্শন করেছেন। এরপরই এনিয়ে সবুজ সংকেত মিলেছে।
তবে কেন্দ্রের তরফে ডিপার্টমেন্ট অফ ইকোনমিক অ্যাফেয়ার্স এনিয়ে সম্মতি না দিলে অর্থ মেলেনা। তবে কেন্দ্র প্রাথমিকভাবে সম্মতি দিয়েছে বলে খবর। তারপরই নতুন আশায় দিন গুনছে রাজ্যের পঞ্চায়েতগুলি। অন্যদিকে আইএসজিপির তৃতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হলে রাজ্য জুড়ে ফের পঞ্চায়েত স্তরে কাজে আরও গতি আসবে।এনিয়ে যথেষ্ট আশায় রয়েছেন নবান্নও।
একদিকে কেন্দ্র ও অন্যদিকে বিশ্বব্যাঙ্ক। এই দুই মহলের দিকে আপাতত তাকিয়ে আছে রাজ্য। তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বিশ্বব্যাঙ্কও অর্থের অনুমোদনের ব্যাপারে প্রাথমিক সম্মতি দিয়েছে। কাজেও সন্তুষ্ট তারা। আবার কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট দফতরও এনিয়ে প্রাথমিক সম্মতি দিয়েছে। সব মিলিয়ে আশার আলো বাংলার পঞ্চায়েতে।