একুশের নির্বাচনে বিধায়ক হবেন বলে দলবদল করেছিলেন। তবে তিনি সিপিআইএম থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। বিপুল ভোটে তিনি পরাজিত হয়েছেন। এখন ঘরে বসে সময় কাটাচ্ছেন। তবে তিনি খাতায়–কলমে ‘ওয়ার্ড কো–অর্ডিনেটর’। নির্বাচনের পর থেকে তাঁর এখন কোনও কাজ নেই। তবে মাঝেমধ্যে শংসাপত্রে সই করেন। হ্যাঁ, তিনি সিপিআইএম কাউন্সিলর রিঙ্কু নস্কর। এখন এভাবেই দিন কাটাচ্ছেন। তিনি কলকাতা পুরসভার একটানা ১৫ বছরের এই কাউন্সিলর। যাদবপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রার্থীও হয়েছিলেন। এখন কার্যত গৃহবন্দি।
বাম থেকে রামে গিয়েও খুব একটা লাভ হয়নি রিঙ্কুর। ১০২ নম্বর ওয়ার্ডের পুরসভার কোনও কাজেই তাঁর দেখা মিলছে না। বাঘাযতীন জ্যোতিসংঘ ক্লাব লাগোয়া পুরসভার ওয়ার্ড অফিসে রিঙ্কু নেই। এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমার ওয়ার্ড অফিস দখল হয়ে গিয়েছে। আমার পাশে কেউ নেই। এখনও আমার সঙ্গে থাকা অনেকেই ঘরছাড়া। এখন ঝামেলা করতে গেলে হামলা হবে।’
এখান থেকে জয়ের টিকা পড়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক দেবব্রত মজুমদার। তাঁকে এই বিষয়ে জানালে তিনি বলেন, ‘ওয়ার্ড অফিসে তো পুরসভার আধিকারিকদের বসার কথা। গিয়ে দেখুন, তারাই বসছেন। উনি নিজের এলাকায় নির্বাচনে তৃতীয় হয়েছেন। এলাকায় যেতে পারছেন না সেটা ওনার ব্যর্থতা। কেউ কিছু দখল করেনি।’
বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের হাত থেকে পতাকা নিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন রিঙ্কু নস্কর। তাঁর হয়ে যাদবপুর কেন্দ্রে প্রচারে এসেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এখন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। কিন্তু রিঙ্কু এখন বেসুরো গাইছেন রিঙ্কু। তিনি বলেন, ‘দিলীপ ঘোষ বা শুভেন্দু অধিকারী–সহ কোনও রাজ্যস্তরের নেতাই আর যোগাযোগ রাখেননি। ফোন করেননি। একমাত্র ডাঃ সুভাষ সরকার যোগাযোগ রেখেছেন।’ আর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর সাংগঠনিক কাজের দায়িত্ব তাঁকে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ রিঙ্কু নস্করের গলায়। তাহলে কি আবার রাজনীতির মঞ্চ বদল? উত্তর মেলেনি।