বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > Jadavpur University: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেস্টে ব্যবহার লাউড স্পিকার, প্রতিবাদপত্র জমা পড়ল

Jadavpur University: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেস্টে ব্যবহার লাউড স্পিকার, প্রতিবাদপত্র জমা পড়ল

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদের ফেস্ট চলছে।

বিভিন্ন স্টল বসিয়ে যাতায়াতের রাস্তা সংকীর্ণ করে ফেলা হয়েছে। তাতে সবারই সমস্যা হচ্ছে। এই নিয়ে উপাচার্যকে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছে জুটা। তবে ফেটসুর দাবি, এই প্রতিবাদের পিছনে অন্য রাজনীতি রয়েছে। জুটার সিপিএম প্রভাবিত নেতৃত্ব আসলে বিকল্প বামশক্তিকে ভয় পেয়েই এরকম অভিযোগ তুলছে। 

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং শাখার ছাত্র সংসদের ফেস্ট চলছে। আর তাতে নাকি প্রাণ ওষ্ঠাগত অবস্থা ছাত্রছাত্রী, গবেষক এবং শিক্ষকদের। এই নিয়ে উপাচার্য সুরঞ্জন দাসকে প্রতিবাদ জানিয়ে স্মারকলিপি জমা দিয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (জুটা)। তাদের বক্তব্য, লাউডস্পিকারের আওয়াজে ক্লাস করা বা পড়াশোনায় মনোনিবেশ করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এমনকী ফেসবুকে খোলা চিঠি লিখে প্রতিবাদ করলেন কবি শ্রীজাত। যাদবপুরের ওপেন থিয়েটার জলসার আওয়াজে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে শ্রীজাতর ব্যক্তিগত জীবন।

এদিকে বিভিন্ন স্টল বসিয়ে যাতায়াতের রাস্তা সংকীর্ণ করে ফেলা হয়েছে। তাতে সবারই সমস্যা হচ্ছে। এই নিয়ে উপাচার্যকে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছে জুটা। তবে ফেটসুর দাবি, এই প্রতিবাদের পিছনে অন্য রাজনীতি রয়েছে। জুটার সিপিএম প্রভাবিত নেতৃত্ব আসলে বিকল্প বামশক্তিকে ভয় পেয়েই এরকম অভিযোগ তুলছে। আফসুর ফেস্টের সময় তারা প্রতিবাদ করেনি। কারণ, আফসু এসএফআই পরিচালিত, যেটি সিপিএমেরই ছাত্র সংগঠন।

অন্যদিকে ফেটসুর এই ফেস্ট শুরু হয়েছে ১ এপ্রিল থেকে। যা শেষ হবে আজ রবিবার। আর তার আগেই অভিযোগ জমা পড়ে গেল। জুটার সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ‘‌বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে চিঠি লিখে অভিযোগ জানানো হয়েছে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করতে গিয়ে যেভাবে লাউড স্পিকার ব্যবহার করা হচ্ছে তাতে শিক্ষার কাজ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। শব্দ দূষণের জেরে কাজ করা যাচ্ছে না।’‌ বিশেষভাবে সক্ষম ছাত্র সুরজ ঝা বলেন, ‘‌আমি নতুন ছাত্র আবাসে থাকি। সেখানে তীব্র আওয়াজ আসায় থাকা যাচ্ছে না।’‌ পাল্টা ফেটসুর সাধারণ সম্পাদক গৌরব দাসের কথায়, ‘‌যদি মানুষের সমস্যা হয় তাহলে আলোচনায় ডাকছি। তাঁদের পরামর্শকে স্বাগত।’‌

ঠিক কী মন্তব্য শ্রীজাতর? এই ঘটনা নিয়ে ফেসবুকে কবি লেখেন, ‘‌মাঝরাত পার হয়ে গিয়েছে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উৎসবের শব্দে বাড়িতে কান পাতা যাচ্ছে না। টানা একসপ্তাহ এই অসহ্য শব্দতাণ্ডব চলছে। তাদের ওপেন এয়ার থিয়েটারে। শব্দের সীমাহীন প্রক্ষেপণে জানালা–দরজা কাঁপছে। কান–মাথা ব্যথা করছে। আমার লেখালেখি ৭দিন হল শিকেয়। দূর্বা কাজ থেকে ফিরে বিশ্রাম নেওয়ার বদলে কষ্ট পাচ্ছে। আমাদের কাজকর্মের কথা ছেড়েই দিলাম। বাড়িতে বয়স্ক, অসুস্থ মা আছেন। নিজের ঘরে শান্তিতে থাকতে পারছেন না। জানি না এর কোনও প্রতিকার আছে কিনা, তবু আমি, আমরা প্রতিবাদ জানালাম।’‌

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup

বন্ধ করুন