যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতর মাদব সেবনের প্রবণতা রুখতে প্রযুক্তি ব্যবহারের পরিকল্পনা করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। সোমবার সাংবাদিকদের কাছে তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন উপাচার্য। তবে মাদক নিরোধক আইনের আওতায় থেকেই যা করার তাই তিনি করবেন বলে জানিয়েছেন উপাচার্য।
তিনি বলেন,'দেশে নারকোটিক্স আইন আছে। সেই আইনের মেনেই আমরা যা করার করব। প্রযুক্তি যদি ব্যবহার যায় তবে তাই করা হবে।'
মাদক নিয়ে প্রবেশের ব্যবহার আটকাতে এমনিতে বিমানবন্দর বা বিভিন্ন সংস্থার প্রবেশ দ্বারে বিশেষ যন্ত্র বাসানো হয়। কেউ মাদক নিয়ে প্রবেশ করলে ওই প্রযুক্তির মাধ্যমে তা ধরা পড়ে। সে রকম যন্ত্র ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গেটে বসানো হতে পারে। তবে কবে থেকে এই কাজ শুরু হবে তা নিয়ে কিছু জানানি বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য।
তবে ইতিমধ্যেই ক্যাম্পাসে সিসিভিটি লাগানোর কাজ শুরু হয়েছে। একটি বেসরকারি সংস্থাকে এর বরাত দেওয়া হয়েছে। হেস্টেল, ক্যাম্পাস মিলিয়ে প্রায় ১০টি ক্যামেরা বসানোর জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানে মোট ২৬টি ক্যামেরা বসানো হবে।
(পড়তে পারেন। দত্তপুকুরকাণ্ডে জোড়া মামলা দায়ের কলকাতা হাইকোর্টে, CBI ও NIA তদন্তের দাবি BJP-র)
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের মধ্যে মাদক সেবন নিয়ে নানা অভিযোগ রয়েছে। দিন কয়েক আগে সাফাই কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয় সাফাই করতে গিয়ে বেশ কিছু মদের বোতল উদ্ধার করেন। তাই সিসি ক্যামেরার পাশাপাশি মাদক সেবন নিয়ন্ত্রণে এবার প্রযুক্তি ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে কর্তৃপক্ষ।
গত ৯ অগস্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলে তিনতলা থেকে পড়ে মারা যান নদিয়ার এক ছাত্র। র্যাগিংয়ের শিকার হয়েছিলেন বলে অভিযোগ। তার পর থেকে দাবি ওঠে ক্যাম্পাসে সিসি ক্যামেরা লাগানোর। ক্যাম্পাসের মধ্যে মাদক সেবন নিয়েও নানা অভিযোগ ওঠে। তারই প্রেক্ষিতে এবার প্রযুক্তি লাগানোর পরিকল্পনা করছে বিশ্ববিদ্যালয়।